ঢাকার কেরানীগঞ্জে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ ফয়জুল ইসলামের কবর ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় শ্রমিক দলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তারানগর ইউনিয়নের বাহেরচর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কেরানীগঞ্জ থানা শ্রমিক দলের সদস্য এবং মামলার ২ নম্বর আসামি।

গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কেরানীগঞ্জের বাহেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে শহীদ ফয়জুল ইসলামের কবর ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ফয়জুলের মা মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন। এদিকে আজ রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া। তিনি দ্রুত কবর সংস্কারের নির্দেশ দেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে মিরপুর ১০ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ফয়জুল ইসলাম। পরবর্তী সময়ে কেরানীগঞ্জের বাহেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে লাশটি দাফন করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে ওই কবরের চারপাশে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছিল।

ফয়জুলের বড় ভাই মোহাম্মদ রাজু বলেন, ‘ভাইয়ের কবর ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ আনোয়ার নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা চাই এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হোক। যাতে শহীদদের আর কেউ অসম্মান করতে না পারেন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আহ্বায়ক শাফায়েত ঢালী বলেন, শহীদ ফয়জুলের কবর ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার আনোয়ার শ্রমিক দলের সক্রিয় কর্মী। তাঁর সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। তিনি বলেন, আগেও এক শহীদের কবর ভাঙচুর করেছিল দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় তাঁদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। শিগগিরই দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরমানুল হক ডাবলু বলেন, শহীদ ফয়জুলের কবর ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

এর আগে গত ১৫ মার্চ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর করেরগাঁও এলাকায় জুলাই–আগস্ট আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া সায়েম হোসেনের কবর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ফয়জ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা

এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম।

অভিযোগকারীর আইনজীবী নাজিম উদ্দীন আহমেদ পান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগী নারী মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্তরা তার (সুমা) শ্বশুরবাড়ির পাকা কবরস্থান ভাঙচুর করে ও দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বাদী জরুরি সেবা ৯৯৯- এ কল করলে থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তবে নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগী সুমা বেগমসহ মামলার তিনজন সাক্ষীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ওসি এবং এসআই আটককৃতদের ছেড়ে দিতে সুমা বেগমের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিকে অপরাগতা প্রকাশ করায় মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন ওসি এবং এসআই। ওইদিন রাত নয়টার পর থানা হেফাজত থেকে বাদী ও মামলার তিনজন সাক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি এবং এসআই মামলার বাদী ও তিন সাক্ষীকে দীর্ঘসময় থানায় আটকে রাখার সুযোগে দুর্বৃত্তরা কবরস্থান ভাঙচুর করে দখল করতে পেরেছে। বাদীর দায়ের করা এজাহার থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এ ঘটনায় বাদী সুমা বেগম গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘ঘুষ দাবির কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। একটি কু-চক্রী মহলের প্ররোচনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে কবর খুঁড়ে ১৪টি কঙ্কাল চুরি
  • বগুড়ায় অটোরিকশাচালক আজগর হত্যা মামলার দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
  • এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ, ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে নালিশি
  • গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
  • কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু