বাংলাদেশে নতুন ঘরানার ট্যাবলেট ‘ওয়ালপ্যাড নাইনজি’ মডেল উন্মোচন করেছে দেশের প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ওয়ালটন। সময়োপযোগী ফিচারে সাজানো ট্যাব স্পেসিফিকেশন, ডিজাইন ও সাশ্রয়ী দামের সমন্বয়ে এটি নির্মিত। এটি বিনোদন, গেমিং, দাপ্তরিক, অনলাইন মিটিং বা ক্লাস ছাড়াও প্রয়োজনে সব কাজের সুবিধা দেবে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানায়।
অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত এ ট্যাবে রয়েছে হেলিও জি-৯৯ অক্টাকোর প্রসেসর, যার ক্লক স্পিড ২.
চার জিবি এলপিডিডিআর-ফোর র্যাম। ১২৮ জিবি ইউএফএস ২.১ স্টোরেজ, যা টিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৫১২ জিবিতে নেওয়া সম্ভব। মালি-জি৫৭ জিপিইউ গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারে গ্রাফিকস পারফরম্যান্স সুবিধা দেবে।
জানা গেছে, ভিডিও রেকর্ডিং, ছবি তোলা, ভিডিও কল বা অনলাইন মিটিং ও ক্লাস ইত্যাদির জন্য রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল
ও ৫ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ। ফ্রন্ট ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল, ডুয়াল স্পিকার, যা ভিডিও কনফারেন্স বা সেলফির জন্য প্রযোজ্য। ব্যাটারি সক্ষমতা ৫১০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার, ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং ও টাইপ-সি ইউএসবি পোর্ট সুবিধা।
কানেক্টিভিটি ও নেটওয়ার্কের দিক থেকেও ওয়ালপ্যাড নাইনজি ডিজাইন করা। মডেলে রয়েছে টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি সংযোগ সুবিধা, ডুয়াল-ব্যান্ড ওয়াইফাই, ব্লুটুথ ৫.২ সংস্করণ
ও হাইব্রিড সিম স্লট। রয়েছে জিপিএস,
জি-সেন্সর, লাইট সেন্সর, হল সেন্সর ও কম্পাসের মতো প্রয়োজনীয় সেন্সর সুবিধা।
ওয়ালটন কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, সব সময় গ্রাহকের চাহিদা পূরণে পণ্য ডিজাইনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। উদ্ভাবিত ট্যাবের কনফিগারেশন এমনভাবে করা, যা গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করবে। আধুনিক জীবনাচরণে ট্যাবটি সময়ের চাহিদা পূরণ করবে। ডিভাইসের অবয়ব রং গ্রে। থাকবে
বিক্রয়োত্তর সেবা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ
তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?
সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’
এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’
আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫