বাংলাদেশে চারটি সুপরিচিত এআইওটি ব্র্যান্ডের পণ্য উন্মোচন করেছে আকিজ টেলিকম লিমিটেড। ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে ফিলিপস, ট্রান্সফরমার, মনস্টার ও এয়ারমার্স। উল্লিখিত সবকটি ব্র্যান্ড-ভক্তরা সময়োপযোগী প্রযুক্তি নিশ্চিতের সঙ্গে স্মার্টফোন ও গ্যাজেট খাতের সম্প্রসারণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে বলে উদ্যোক্তারা জানান।
বক্তারা বলেন, আকিজ টেলিকমের হাত ধরে দেশের বাজারে যাত্রা শুরু হওয়া ফিলিপস, ট্রান্সফরমার, মনস্টার ও এয়ারমার্স ব্র্যান্ড ইতোমধ্যে স্মার্ট প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের জন্য সারাবিশ্বে সাড়া জাগিয়েছে। বাংলাদেশে এসব ব্র্যান্ডের পণ্য বিপণনে আকিজ টেলিকম বহুজাতিক করপোরেশন শেনজেন ওয়ানলিন টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে অংশীজন হয়েছে।
আকিজ রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শেখ জসিম উদ্দিন বলেন, বিশ্বজুড়ে সমাদৃত ব্র্যান্ডের পণ্য বাংলাদেশের গ্রাহকের জন্য নিয়ে আসার লক্ষ্যে শেনজেন ওয়ানলিনের সঙ্গে আকিজ টেলিকম এমন উদ্যোগ নিয়েছে। দেশকে আরও স্মার্ট ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগটি সহায়ক হবে।
আকিজ টেলিকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম কামরুল হাসান বলেন, বিশ্বের জনপ্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড বাংলাদেশের গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরণ করবে; সঙ্গে উন্মোচন করবে নতুন সম্ভাবনা। প্রযুক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ সবার জন্য স্মার্ট ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। নতুন আসা চারটি ব্র্যান্ডের পণ্য গ্রাহকের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সঞ্চালকের কাজ করবে। দেশের প্রযুক্তি খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে সবার জন্য অনবদ্য ডিজিটাল লাইফস্টাইল অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে আমরা কাজ করব।
আইওটি পণ্য পরিচিতিতে উপস্থিত ছিলেন ওয়ানলিন টেকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ) মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম
এবং ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ওয়ানলিন টেকের গ্লোবাল ম্যানেজার পল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বিজিবিতে চাকরি পেলেন ফেলানীর ছোট ভাই
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরফান হোসেন (২১) বিজিবির সিপাহি পদে চাকরি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। এ সময় আরফান হোসেনের বাবা মো. নুরুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
কক্সবাজারে ৮০ শতাংশ মাদক আসে সাগরপথে: বিজিবি
এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৫ বিজিবি আয়োজিত সিপাহি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন আরফান হোসেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘‘বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে আছে। ফেলানীর ছোট ভাই বিজিবি নিয়োগ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। আমরা আশা করি, প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি একজন যোগ্য বিজিবি সদস্য হিসেবে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘সীমান্তে ফেলানী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বদা সীমান্তে অত্যন্ত সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে।’’
আরফান হোসেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনটারী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা নুর ইসলাম দিনমজুর ও মা জাহানারা বেগম গৃহিণী। পরিবারের অন্য দুই ভাইয়ের মধ্যে জাহান উদ্দিন স্নাতক পড়ছেন এবং আক্কাস আলী পড়ছেন এইচএসসিতে। দুই বোন মালেকা খাতুন ও কাজলী আক্তারের বিয়ে হয়েছে।
আরফান হোসেন বলেন, ‘‘ফেলানী হত্যার পর সারা দেশের মানুষ যেভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছিল, তখন থেকে ইচ্ছে ছিল; বিজিবিতে চাকরি করব। আজ সেই স্বপ্ন পূর্ণ হলো। আমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করব।’’
ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, ‘‘ভারত থেকে ফেরার পথে আমার নাবালিকা মেয়েকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে বিএসএফ। সেই দৃশ্য আজও ভুলতে পারিনি। তবে, দেশবাসী আর বিজিবি সব সময় আমাদের পাশে ছিল। আজ আমার ছেলে মেধা ও যোগ্যতায় বিজিবিতে সুযোগ পেয়েছে। এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।’’
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী। তার নিথর দেহ কাঁটাতারের বেড়ায় দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা ঝুলে ছিল। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে নিন্দার ঝড় উঠে।
ঢাকা/সৈকত/রাজীব