মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যকেন্দ্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গাদের এলাকায় স্বাধীন মুসলিম রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ঢাকা সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা এ প্রস্তাব দেন। রোববার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াতে ইসলামীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের পেং জিউ বিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো.

তাহেরের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন।

বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘বাংলাদেশে ১১ বা ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে; তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের খাদ্য, কাপড় ইত্যাদি দেওয়া কোনো সমাধান নয়। স্থায়ী সমাধানের জন্য রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ও পুনর্বাসন করতে হবে। সে জন্য আমরা আরাকানকেন্দ্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গাদের এলাকায় “ইন্ডিপেনডেন্ট আরাকান স্টেট” করার প্রস্তাব দিয়েছি।’

চীনকে কেন এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা। তিনি বলেন, চীন এখানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ, মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের বড় ধরনের সম্পর্ক আছে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদল এই প্রস্তাব তাদের দেশের সরকারকে জানাবে বলে জানিয়েছে।

বৈঠকে চীনা প্রতিনিধিদলকে তিস্তা ব্যারাজ, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু এবং গভীর সমুদ্রবন্দরে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান আবদুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

চীনের এই প্রতিনিধিদল তাদের দেশের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জামায়াতকে দাওয়াত দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানান জামায়াতের নায়েবে আমির। জামায়াতের পক্ষ থেকেও শিগগিরই চীনা কমিউনিস্ট পার্টির একটি প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘তারা আমাদের দেশের জাতীয় নির্বাচন কখন, কীভাবে হতে পারে, তা জানতে চেয়েছে। আমরা জানিয়েছি, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জুনে নির্বাচনের কথা বলেছেন, আমরাও এ বিষয়ে একমত। তারা এই নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপে বিশ্বাস করে না বলে আমাদের জানিয়েছে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’

আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।

পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’

শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ