কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘স্ক্র্যাপ শেডে’ আগুনের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি
Published: 28th, April 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (আরএনপিএল) ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘স্ক্র্যাপ শেডে’ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনা করা হয়েছে।
উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে নির্মাণাধীন ওই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় এ আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে কলাপাড়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পাশাপাশি আরএনপিএলের নিজস্ব ফায়ার ইউনিটের সহায়তায় রাত সাড়ে ৯টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে মূল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোনো ক্ষতি হয়নি।
পরে গতকাল রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরএনপিএল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল হালিমকে তদন্ত দলের প্রধান করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ওসমান ও উপব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আমিনুল ইসলাম। কমিটিকে আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আরএনপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম ভূঁইয়া ও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) তৌফিক ইসলাম আজ সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুনকলাপাড়ায় নির্মাণাধীন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘স্ক্র্যাপ শেডে’ ভয়াবহ আগুন১২ ঘণ্টা আগেমূল বিদ্যুৎকেন্দ্রের দক্ষিণ পাশে প্রায় ২০ একর জায়গাজুড়ে ‘স্ক্র্যাপ শেডে’র অবস্থান। সেখানে প্লাস্টিকের ড্রাম, প্লাস্টিকের খালি বোতল, বিটুমিনের খালি ড্রাম, বিভিন্ন যন্ত্রাংশের টুকরা, বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন পণ্যের লোহার পাতের প্যাকেজিং আগুনে পুড়ে গেছে। আজ সকালে গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া মালামালের স্তূপ থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছে। তবে কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের কনিষ্ঠ নির্বাহী মো.                
      
				
কীভাবে আগুন লেগেছে, তা কেউই স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়দের কয়েকজন বলেন, যেসব পুরোনো বা ফেলনা জিনিসপত্র পুড়েছে, তা বিক্রি করা হয়ে থাকে। এসব মালামাল বিক্রি থেকেও অনেক টাকা আয় হয়। এটা কোনো নিছক অগ্নিকাণ্ড নয়, এর সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রের লোকজন জড়িত থাকতে পারেন।’
আরএনপিএলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্ক্র্যাপ ইয়ার্ডে কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এতে মূল পাওয়ার প্ল্যান্টের কোনো ক্ষতি হয়নি। বিষয়টি নাশকতার উদ্দেশে কি না, তা–ও এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, আসলে স্থানীয় একটি চক্র প্ল্যান্টের ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন সময় এসব পরিত্যক্ত মালামাল চুরি করে নেওয়ার চেষ্টা করেছের। বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের লোকদের বাধার কারণে নিতে পারেননি। এখন ওই চক্রের লোকেরাই এসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন। নানা ধরনের গুজব ছড়াচ্ছেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরের ছয়টি আসনের ৪টিতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা
গাজীপুরের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, গাজীপুর-১ ও গাজীপুর-৬ আসনের প্রার্থীদের নাম পরে জানানো হবে।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা হয়নি ঢাকা-২০ আসনে, অপেক্ষায় ৪ নেতা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিজ্ঞদের ওপর আস্থা রাখল বিএনপি
গাজীপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এম এ মান্নানের ছেলে এম. মঞ্জুরুল করিম রনি। গাজীপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। গাজীপুর-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান এবং গাজীপুর-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক মিলন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “যেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এছাড়া, শরিক দলের জন্য কিছু আসন খালি রাখা হয়েছে।”
এর আগে, দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী সেই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তকরণ এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে আনুষ্ঠানিক তফসিল।
এদিকে প্রার্থী ঘোষণার খবর পেয়ে গাজীপুর মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন। তবে গাজীপুর-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক মিলন তানিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন।
ঢাকা/রফিক/মাসুদ