দুই নারী, জয়া ও তার সহকারী শারমিনের সম্পর্কের উত্থান-পতনের গল্পে নির্মিত সিনেমা ‘জয়া আর শারমিন’ নির্মাণের পাঁচ বছর পর প্রেক্ষাগৃহে আসছে। এটি নির্মাণ করেছেন পিপলু আর খান। করোনা মহামারীর সময়ে শুরু হয়েছিলো এই সিনেমার শুটিং। মাত্র ১৫ দিনে, মহামারির কঠিন সময়ে সীমিত একটি টিমের সহযোগিতায় সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে।

কোভিডের সময়, এক বাড়িতে আটকে পড়া দুই নারী নিজেদের জন্য তৈরি করে নেয় একটি ছোট্ট জগৎ যা কিনা বাইরের ভীতিকর বাস্তবতায় ধীরে ধীরে ফিকে হতে থাকে, ফাটল ধরাতে শুরু করে তাদের ভেতরকার সম্পর্কেও। সিনেমায় জয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান এবং শারমিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মঞ্চের দক্ষ অভিনেত্রী মহসিনা আক্তার।

২৭ এপ্রিল জয়া আহসান সিনেমার একটি মোশন পিকচার শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, “কিছু গল্পের মুহূর্ত খুঁজে পেতে সময় লাগে। এমন এক সময়ে চিত্রায়িত যখন পৃথিবী স্থবির ছিল,আমাদের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জয়া আর শারমিন’নীরবে অপেক্ষা করছিল। ৫ বছর পর,এটি অবশেষে আপনার সামনে আসতে প্রস্তুত। পিপলু আর খান পরিচালিত সিনেমাটি দুই নারীর গল্প যারা নিজেদের ক্ষতি,বন্ধুত্ব এবং নারীত্বের গল্পে আবদ্ধ। শীঘ্রই আসছে।”

সিনেমাটি নিয়ে এর আগে জয়া আহসান বলেছিলেন, ‘জয়া আর শারমিন দু’জন নারীর অচেনা ভুবনের গল্প এটি। আমাদের অন্তর্জগতের ঘাত-প্রতিঘাত, অনুক্ত, অব্যক্ত অনুভূতির ডকুমেন্টেশন। একটা অদ্ভুত সময়ে, অসাধারণ অভিজ্ঞতায় শুট করা ছোট্ট একটা ছবি কিন্তু আশা আছে এটি আপনাদের অনুভূতিকে নাড়া দেবে।’

সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন যৌথভাবে পিপলু আর খান এবং নুসরাত ইসলাম মাটি। জয়া আহসান এবং মহসিনা আক্তার ছাড়াও এখানে আরও অভিনয় করেছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী।

এটি প্রযোজনা করেছে পিপলু আর খানের অ্যাপল বক্স, আবু শাহেদ ইমনের বক্স অফিস মাল্টিমিডিয়া এবং জয়ার প্রতিষ্ঠান সি তে সিনেমা। খুব শিগগিরই সিনেমাটির মুক্তি তারিখ ঘোষণা করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জয় আহস ন নত ন স ন ম কর ছ ন আর খ ন আহস ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঋত্বিকের বাড়ি যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’

বরেণ্য চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার এক বছর পার হয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি এখন কেবলই ইটের স্তূপ আর আগাছায় ভরা এক ধ্বংসস্তূপ। স্মৃতিচিহ্ন বলতে টিকে আছে ভাঙা ইটের পাঁজা আর কয়েকটি ভাঙা দেয়াল, যেখানে গত বছর আঁকা হয়েছিল ঋত্বিকের একটি পোর্ট্রেট। সেই দেয়ালই যেন নির্বাক হয়ে জানান দিচ্ছে এক সাংস্কৃতিক অবহেলার করুণ ইতিহাস।
গতকাল রোববার ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটায় গিয়ে দেখা যায়, খসে পড়া দেয়ালে ‘বাড়ী থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘অযান্ত্রিক’-এর মতো সিনেমার নাম ও চিত্রকর্ম আঁকা। এর মাঝে মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে ছোট চুলের ঋত্বিক ঘটক যেন তাকিয়ে আছেন তাঁরই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের দিকে।

অথচ এই বাড়ির সূত্রেই বহু মানুষ রাজশাহীকে চিনেছেন। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ঋত্বিকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখার স্মৃতিচারণায় একবার বলেছিলেন, ‘সেই সিনেমা দেখার মুগ্ধতা বুকের মধ্যে মধুর মতো জমে আছে।’ কালের পরিক্রমায় ঋত্বিকের সেই বাড়িই আজ ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়ে গেছে। স্মৃতি আছে, কিন্তু অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। রাজশাহীর চলচ্চিত্রকর্মীরা চান, এই ধ্বংসস্তূপের ওপরই ঋত্বিকের স্মৃতি সংরক্ষণে টেকসই কোনো উদ্যোগ নেওয়া হোক।

ঋত্বিক ঘটক

সম্পর্কিত নিবন্ধ