জাবিতে জুলাই হামলায় জড়িত ২৬৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে শাস্তি
Published: 28th, April 2025 GMT
জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২৫৯ জন শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার ও ৯ জন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের সবাই জাবি শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেলা ১১টায় থেকে শুরু হওয়া সিন্ডিকেট সভা শেষে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন সংযোগ কার্যালয়ের পরিচালক ড মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংসাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিন্ডিকেট সভায় গত ১৪ জুলাই রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে, ১৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে, একই দিন দিবাগত রাত ১২টায় জাবি উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ছররা গুলি বর্ষণ এবং ১৭ জুলাই বেলা ৩টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নয়জন শিক্ষক, দুইজন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হামলার বিচার দাবিতে জাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
নিউজ প্রকাশের জেরে জাবি সাংবাদিককে হুমকি, প্রতিবাদে মানববন্ধন
সভায় ২৫৯ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করে অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও ১০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আনুষ্ঠানিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
একইসঙ্গে ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যূত্থান চলাকালীন চরম নিরাপত্তাহীন অবস্থায় প্রাণের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল খালি করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কার দায় কতটুকু, তা যাচাই করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ১৭ মার্চ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হিসেবে গণ্য করা হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন।
দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত। তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা