‘কেশরী-২’ সিনেমা ঘোষণার সময় অনন্যা পান্ডের কাস্টিং নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। তবে আলোচনার চেয়ে বেশি হয় সমালোচনা। কারণ, সেই সময় একের পর এক নেতিবাচক মন্তব্য ও ট্রোলিংয়ের শিকার হচ্ছিলেন তিনি। তবে সুযোগটা ঠিকঠাক কাজে লাগিয়েছেন তিনি। অভিনয় দিয়ে প্রতিটি দৃশ্য নিজের করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছেন সমালোচকদের মুখ।
সম্প্রতি কইমইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনন্যাকে নিয়ে দর্শকের প্রতিক্রিয়া শুনে আনন্দ প্রকাশ করেন পরিচালক করণ সিং ত্যাগী। তিনিও বলেন, পর্দায় অনন্যা সত্যিই ‘ডাইনামাইট’।
নেতিবাচক মন্তব্য ও ট্রোলিং সত্ত্বেও সিনেমার জন্য অনন্যা পান্ডেকে কেন নির্বাচন করেছিলেন, বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন নির্মাতা।
তার কথায়, ‘আমরা মূলত চিত্রনাট্যের প্রতি সৎ ছিলাম। আমাদের সামনে যেটা ছিল, সেই গল্পের প্রতি সৎ ছিলাম। দিলরীত গিলের চরিত্রের জন্য আমাদের একজন তরুণী অভিনেত্রীর প্রয়োজন ছিল। কারণ, এই চরিত্রের মধ্য দিয়ে আমরা ভারতের প্রথম নারী আইনজীবীকে সম্মান জানাতে চেয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমন কাউকে চেয়েছিলাম যার মধ্যে একদিকে কোমলতা থাকবে এবং অন্যদিকে চোখে থাকবে দুর্দান্ত দৃঢ়তা। আমি চেয়েছিলাম কোমলতা এবং শক্তি বৈশিষ্ট্য দুই একসঙ্গে প্রকাশ পাক।’
করণ সিং বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান, অনন্যা দুর্দান্ত অভিনয় করেছে বলে। আমার মনে হয় সেটি ছিল তার অন্যতম সংবেদনশীল অভিনয়।’
এই সিনেমায় অনন্যা পান্ডের সঙ্গে আভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার, আর.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অনন য প ণ ড অনন য
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?