ডিজিটাল কনটেন্টের (আধেয়) সুরক্ষা ও ব্যবহারকারীদের পরিচয় যাচাইয়ের কার্যক্রম সহজ করতে যৌথভাবে কাজ করবে পেশাজীবীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইন ও প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান অ্যাডোবি। ‘ভেরিফায়েড অন লিংকডইন’ নামের এ উদ্যোগের আওতায় লিংকডইনের পরিচয় শনাক্তকরণ ও অ্যাডোবির বিষয়বস্তু যাচাইকরণ টুলের মাধ্যমে কনটেন্ট নির্মাতাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে মেধাস্বত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি অন্যদের কাছে কনটেন্টগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়বে।

লিংকডইনের ট্রাস্ট বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অস্কার রদ্রিগেজ জানিয়েছেন, ভেরিফায়েড অন লিংকডইনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অনলাইনে নিজেদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারবেন। লিংকডইনে এখন মূলত পরিচয়, কর্মস্থল ও শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ রয়েছে। নতুন এই অংশীদারত্বের ফলে অ্যাডোবির কনটেন্ট নির্মাতারা লিংকডইনের যাচাই করা পরিচয় কাজে লাগিয়ে নিজেদের তৈরি কনটেন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।

আরও পড়ুনলিংকডইনের প্রতিবেদনে চাকরির বাজারে এগিয়ে থাকতে ১৫টি দক্ষতা০১ এপ্রিল ২০২৫

লিংকডইন ও অ্যাডোবির তথ্যমতে, অ্যাডোবির কনটেন্ট অথেনটিসিটি অ্যাপের মাধ্যমে ছবি বা ডিজিটাল কনটেন্টের স্বত্ববিষয়ক তথ্য যুক্ত করে ‘ভেরিফায়েড অন লিংকডইন’ ব্যাজ যুক্ত করতে পারবেন অ্যাডোবি ব্যবহারকারীরা। সেই কনটেন্ট লিংকডইনে প্রকাশ করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্মাতার পরিচয়সংক্রান্ত তথ্যও দেখা যাবে। বর্তমানে অ্যাডোবির কনটেন্ট অথেনটিসিটি অ্যাপ পরীক্ষামূলক চালু রয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ছবি ও ডিজিটাল কনটেন্টের স্বত্বের তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।

আরও পড়ুনব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করায় লিংকডইনের বিরুদ্ধে মামলা, আপনার অ্যাকাউন্ট নিরাপদ আছে তো২৪ জানুয়ারি ২০২৫

লিংকডইন জানিয়েছে, ভেরিফায়েড অন লিংকডইন ব্যাজ শুধু লিংকডইনে নয়, ট্রাস্টরেডিয়াস, জিটু ও ইউজার টেস্টিংয়ের মতো অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও ব্যবহার করা যাবে। ভবিষ্যতে আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হবে।

সূত্র: ম্যাশেবল

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড জ ট ল কনট ন ট র ভ র ফ য় ড অন ল কনট ন ট র স ন শ চ ত কর ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।

আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।

বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’

এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্‌স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ