গোপালগঞ্জে ৫ মিনিটের ঝড়ে ১ ঘণ্টা সড়ক বন্ধ
Published: 28th, April 2025 GMT
মাত্র পাঁচ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় গাছপালা ভেঙে পড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এক ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় হয়।
মুকসুদপুর উপজেলা ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মেহেদি হাসান বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। মাত্র পাঁচ মিনিটে ঝড়ে মুকসুপুর উপজেলার দাসেরহাট থেকে পুরাতন মুকসুদপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় মহাসড়কের পাশের ৩০ থেকে ৪০টি গাছ ভেঙে পড়লে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময মহাসড়কের দুই পাশে অ্যাম্বুলেন্সসহ বহু যানবাহন আটকা পড়ে। পরে খবর পেয়ে মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছ কেটে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরো পড়ুন:
যত্রতত্র ময়লা না ফেলার আহ্বান ডিএনসিসি প্রশাসকের
রাঙামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৬
দাসেরহাট এলাকার বাসিন্দা পরেশ বিশ্বাস বলেন, মাত্র পাঁচ মিনিটের ঝড়ে মহাসড়কের পাশের গাছপালা ভেঙে পড়ে। স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মহাসড়ক থেকে গাছ কেটে অপসারণ করে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসরিম আক্তার বলেন, সড়ক থেকে গাছ সরিয়ে নেওয়ায় পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/বাদল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ঝড় উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।