গতকালের বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের জন্য ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গড়ার কথা বোঝাতে চেয়েছি: জামায়াত নেতা তাহেরের বিবৃতি
Published: 28th, April 2025 GMT
ঢাকা সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে গতকাল রোববার জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মিয়ানমারের আরাকানে সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গাদের এলাকায় ‘ইনডিপেনডেন্ট আরাকান স্টেট’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছিলেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তবে আজ সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি যে বক্তব্য দিয়েছি, তাতে মূলত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদভাবে তাঁদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করার ব্যবস্থা ও তাঁদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছি।’
গতকাল বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর জামায়াত নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে ১১ বা ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে; তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের খাদ্য, কাপড় ইত্যাদি দেওয়া কোনো সমাধান নয়। স্থায়ী সমাধানের জন্য রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ও পুনর্বাসন করতে হবে। সে জন্য আমরা আরাকানকেন্দ্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গাদের এলাকায় “ইনডিপেনডেন্ট আরাকান স্টেট” করার প্রস্তাব দিয়েছি।’
এ বিষয়ে আজ জামায়াতের প্রচার বিভাগের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বৈঠকের পর সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ সম্পর্কে যে ব্রিফিং দিয়েছেন, তাতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে আজ বিবৃতি দিয়েছেন। এরপর উদ্ধৃতি চিহ্নের ভেতরে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের বক্তব্য তুলে ধরা হয়। তাতে বলা হয়, ‘(গতকালের) ব্রিফিংয়ে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি, তাতে মূলত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদভাবে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করার ব্যবস্থা ও তাদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছি। আমার বক্তব্যের মাধ্যমে কোনো ভুল–বোঝাবুঝি সৃষ্টি হলে তা এই বিবৃতির মাধ্যমে নিরসন হবে বলে আশা করি। এটিই জামায়াতে ইসলামীর দৃষ্টিভঙ্গি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর ক ন র জন য গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’
আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।
পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’
শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি