অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হলে কমে যেতে পারে উচ্চতাও! মূলত চাকতির মতো ‘ডিস্ক’ জলশূন্য হয়ে পড়ার কারণে মেরুদণ্ডের দৈর্ঘ্য কমে যায়। তবে মেরুদণ্ডে বহুস্তরীয় চিড় ধরলেও এমন হতে পারে। বয়স বাড়লে ক্ষয় হয় হাড়ের। হাড়ের যে রোগগুলো সবচেয়ে বেশি মানুষকে আক্রমণ করে তার মধ্যে অন্যতম অস্টিওপোরোসিস। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে বিশেষ কোনো উপসর্গ না থাকলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিঠে তীব্র ব্যথা শুরু হয় এই রোগে। এমনকি, কমে যেতে পারে দেহের উচ্চতাও! মূলত চাকতির মতো যে হাড় বা ডিস্ক থাকে, তা জলশূন্য হয়ে পড়ার কারণে মেরুদণ্ডের দৈর্ঘ্য কমে যায়। তবে মেরুদণ্ডের হাড়ের বহুস্তরীয় চিড় ধরলেও এমন হতে পারে।
শুধু অস্টিওপোরোসিসই নয়, হাড়ের ক্ষয় থেকে দেখা দিতে পারে হরেক রকমের সমস্যা। বয়স চল্লিশ পেরিয়ে গেলে যা আরও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করার সবচেয়ে মোক্ষম হাতিয়ার সঠিক খাওয়া-দাওয়া।
কী খাবেন?
ক্যালসিয়াম: এই মৌল হাড়ের সবচেয়ে বড় বন্ধু। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। নারীর ক্ষেত্রে এই মাত্রা ১২০০ মিলিগ্রাম। ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎস দুধ। যারা দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থ খেতে পারেন না, তাদের গাঢ় সবুজ রঙের শাকসবজি খাওয়া বাঞ্ছনীয়। পালংশাক, বাঁধাকপি ও শালগমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম মেলে।
ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক: এ দুটি মৌলও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত জরুরি। কুমড়ার বীজ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও পালংশাকে ম্যাগনেশিয়ামে পাওয়া যায়। মাংস, ডিম কিংবা ডাল থেকে পাওয়া যায় জিঙ্ক।
ভিটামিন: হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ও ভিটামিন কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত রোদে কিছুক্ষণ থাকলে ত্বকেই উৎপন্ন হয় ভিটামিন ডি। তা ছাড়াও বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বয়স ক য লস য় ম সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’