বগুড়ায় যমুনা থেকে বালু তোলা নিয়ে সংঘর্ষে ছুরিকাহত ৪
Published: 29th, April 2025 GMT
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার বাগবেড় এলাকায় যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে সংঘর্ষে চারজন ছুরিকাহত হয়েছে। আহতরা হলো, পৌর এলাকার বাগবেড় গ্রামের মেহেদী হাসান (১৬), একই গ্রামের শাহজাহান সরদার (২২), মোকছেদ সরদার (৩৫) ও আমজাদ মামুন মিয়া (৩৫)। আহতদের মধ্যে মেহেদী হাসান ও শাহজাহান সরদারকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’জন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জানা যায়, কয়েকদিন ধরেই উপজেলার কালিতলায় গ্রোয়েন বাঁধের দক্ষিণ পাশে যমুনা নদীর চরে রাতের আঁধারে বালু তুলে বিক্রি করছিল বালু ব্যবসায়ীরা। সোমবার রাত ৯টার দিকে সেখানে বালু উত্তোলনে স্থানীয় জমির মালিকরা বাধা দেন। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্য সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের সময় বালু ব্যবসায়ীদের ছুরিতে চারজন আহত হয়। তাদের চিকিৎসার জন্য সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আহত অপর দু’জন সারিয়াকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি জামিরুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’