চট্টগ্রামে ব্যাটরিচালিত রিকশা শ্রমিকদের সমাবেশ পণ্ড, আটক ৩
Published: 29th, April 2025 GMT
চট্টগ্রাম মহানগরীর দেওয়ান হাট এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের সমাবেশ পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। এসময় সেখান থেকে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও ছাত্র ফ্রন্টের নেতাসহ তিনজন আটক হন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ঘটনাটি ঘটে বলে জানান ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করার কোনো অনুমতি ছিল না। এ কারণে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
আরো পড়ুন:
মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
দুই কিশোরীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করায় দম্পতি গ্রেপ্তার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ’ ৭ দফা দাবি আদায়ে নগরীর দেওয়ান হাট এলাকায় সমাবেশ আয়োজন করে। পূর্বানুমতি না থাকায় পুলিশ সমাবেশ করতে বাধা দেয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ করার চেষ্টা করেন পরিষদের সদস্যরা। এসময় পুলিশ তিনজনকে আটক করে।
ওসি কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “অনুমতি ছাড়াই ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকদের ব্যানারে সমাবেশ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। রাস্তা বন্ধ করে এই সমাবেশ করার কোনো অনুমতি ছিল না। ফলে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের কাজে বাধা দিয়ে সমাবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে।”
তিনি আরো বলেন, “আটককৃতদের মধ্যে হালিশহর থানায় হওয়া একটি মামলার আসামিও আছেন। তার নাম জয়। তিনি ওই সংগঠনের আহ্বায়ক। বাকিদের বিরুদ্ধে মামলা আছে কি-না তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস