রোটারি ইন্টারন্যাশনালের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে
Published: 29th, April 2025 GMT
দুস্থ মানুষের কল্যাণে রোটারি ইন্টারন্যাশনালের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন রোটারি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর ও সাবেক গভর্নর এ কে এম শামসুল হুদা। গতকাল সোমবার রাজধানী ঢাকায় একটি হোটেলে রোটারি ক্লাব অব ঢাকা কসমোপলিটনের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, রোটারি বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী দুস্থ মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন রোটারির সাবেক গভর্নর গোলাম মোস্তফা, রোটারিয়ান রকিব সরদার, ওমর শরিফ, নুরুন্নেসা বেগম, আশীষ কুমার দাস প্রমুখ। বক্তারা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তাঁরা দারিদ্র্য বিমোচন, বেকার যুবকদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি এবং গ্রামাঞ্চলের জন্য বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির ব্যবস্থা কার্যক্রমে রোটারির পাশে এসে দাঁড়ান।
অনুষ্ঠানে পাবলিক ইমেজ সৃষ্টিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রোটারিয়ান আবুল খায়ের চৌধুরীকে বিশেষ সম্মাননা সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। রোটারি নেতারা অনুষ্ঠানে দুস্থ নারীদের জন্য সেলাই মেশিন, এতিমখানার জন্য বিশেষ সাহায্য এবং অন্যান্য কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করেন। বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’