খালেদা জিয়া মে মাসের শুরুতে দেশে ফিরতে পারেন
Published: 29th, April 2025 GMT
চিকিৎসা শেষে মে মাসের শুরুতে দেশে ফিরতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর আসার ব্যাপারে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের অনুরোধ জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া যেসব সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্ত, তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। প্রথমে লন্ডন ক্লিনিকে অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে চলে চিকিৎসা। পরে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন তিনি।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। চিকিৎসা শেষে তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা ভালো বলে ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক সমকালকে জানান, মাঝে দু’বার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিতে হয়েছিল। কারণ হঠাৎ তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছিল। বর্তমানে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি নিজেই দেশে ফিরতে উদগ্রীব। মে মাসের প্রথম দিকে খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারেন বলে জানান তিনি।
ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তিনি যে কোনো দিন দেশে ফিরতে পারেন। সবকিছু নির্ভর করছে মেডিকেল টিমের অনুমতির ওপর।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাবা পটুয়া কামরুল হাসান স্মরণে মেয়ে শুমোনা হাসানের গান
ভালোবাসা, স্মৃতি ও উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে এক আবেগঘন পরিবেশে পটুয়া কামরুল হাসানের কন্যা শুমোনা হাসান তার বাবাকে উৎসর্গ করে একটি হৃদয়স্পর্শী গান প্রকাশ করেছেন।
বাবা দিবস উপলক্ষে আজ দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে ‘কত দূর বাবা তোমার বাড়ি’ শিরোনামে গানটি প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুমোনার পরিবার, ঘনিষ্ঠজন, এবং সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মীরা।
গানটি শুমোনার নিজস্ব রচনা, সুর এবং কণ্ঠে পরিবেশিত। এতে ফুটে উঠেছে একজন কন্যার তার বাবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো, তাদের ভালবাসা, সংগ্রাম এবং অনন্য সম্পর্কের গল্প। গানের প্রতিটি কথা ও সুর যেন এক আবেগের যাত্রাপথ।
অনুষ্ঠানে শুমোনা বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য এক বিজয়ী এবং আবেগময় সময়। বাবার আত্মা সবসময় আমাকে পথ দেখিয়েছে। এই গানটি তার প্রতি আমার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার ছোট্ট বহিঃপ্রকাশ।’
শুমোনা জানান, ভবিষ্যতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রেখে তাঁর বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে চান সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে।