চিকিৎসা শেষে মে মাসের শুরুতে দেশে ফিরতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর আসার ব্যাপারে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের অনুরোধ জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

তৌহিদ হোসেন জানান, যুক্তরাজ্য থেকে খালেদা জিয়ার ফেরার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুতে সরকার কাজ করছে। 

এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া যেসব সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্ত, তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। প্রথমে লন্ডন ক্লিনিকে অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে চলে চিকিৎসা। পরে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন তিনি।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। চিকিৎসা শেষে তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা ভালো বলে ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক সমকালকে জানান, মাঝে দু’বার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিতে হয়েছিল। কারণ হঠাৎ তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছিল। বর্তমানে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি নিজেই দেশে ফিরতে উদগ্রীব। মে মাসের প্রথম দিকে খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারেন বলে জানান তিনি।

ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তিনি যে কোনো দিন দেশে ফিরতে পারেন। সবকিছু নির্ভর করছে মেডিকেল টিমের অনুমতির ওপর।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে

একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।

এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।

আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।

সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ