Samakal:
2025-05-01@00:00:03 GMT

গরমে বের হওয়ার আগে

Published: 29th, April 2025 GMT

গরমে বের হওয়ার আগে

বাড়ছে তাপমাত্রা। ভ্যাপসা গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ গরমকালে বাইরে বের হলে শরীর ও ত্বকের সুরক্ষা খুব জরুরি। গরমে বাইরে বের হওয়ার কিছু প্রস্তুতি প্রয়োজন। যেমন–
সানস্ক্রিন ব্যবহার 
বাইরে যাওয়ার ২০-৩০ মিনিট আগে এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি সানস্ক্রিন মুখ, গলা, হাতে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। বারবার ঘেমে গেলে প্রতি ২-৩ ঘণ্টা পর আবারও লাগান। 
হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন
বাইরে যাওয়ার সময় পাতলা, হালকা রঙের সুতি কাপড় পরুন। তাহলে শরীর তুলনামূলক ঠান্ডা থাকবে। সম্ভব হলে ফুল হাতার জামা পরুন। তাহলে ত্বক ভালো থাকবে। পা ঢাকা জুতার বদলে খোলা স্যান্ডেল ব্যবহার করুন। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে চোখ বাঁচাতে ব্যাগে সানগ্লাস রাখুন।  
ছাতা বা বড় ক্যাপ ব্যবহার
গ্রীষ্মে রোদের তীব্রতা বেশি থাকে। বেশিক্ষণ রোদে থাকলে ত্বকে টান পড়ার ঝুঁকি থাকে। ত্বক যাতে সরাসরি রোদের সংস্পর্শে না আসতে পারে সে জন্য ছাতা বা বড় ক্যাপ ব্যবহার করাটা জরুরি। 
হাইড্রেটেড থাকুন
শরীর যাতে কোনোভাবেই পানিশূন্য না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই পানির বোতল সঙ্গে রাখুন এবং প্রতিদিন কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করুন। মাঝেমধ্যে স্যালাইন খান। হাইড্রেট থাকতে এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত মৌসুমি ফল এবং বাড়িতে বানানো ভেষজ পানীয় খান। 
ফেস ওয়াইপস বা টিস্যু রাখুন
ঘাম বা ময়লা পরিষ্কার করার জন্য হ্যান্ডব্যাগে ওয়েট ওয়াইপস বা নরম টিস্যু রাখুন। 
লিপবাম ও সানগ্লাস
গরমেও ঠোঁট শুকিয়ে যায়। তাই ব্যাগে সবসময় এসপিএফযুক্ত লিপবাম রাখুন।
সুগন্ধি
এ গরমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস হচ্ছে সুগন্ধি। বাইরে বের হলে গরমে ঘেমে একাকার হতে হয়। ঘাম জমে শরীরে দুর্গন্ধও হয়। তখন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। ব্যাগে সুগন্ধি থাকলে মাঝেমধ্যে বের করে স্প্রে করে নিতে পারেন। এতে ঘামের গন্ধ দূর হবে। মনও সতেজ থাকবে। 
ড্রাই ফ্রুটস রাখুন 
গরমের দিনে বাইরের খাবার বিশেষ করে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। ব্যাগে নানা ধরনের ড্রাই ফ্রুটস যেমন– কাজুবাদাম, কিশমিশ, আখরোট, কাঠবাদাম রাখতে পারেন। খুব বেশি ক্ষুধা অনুভূত হলে হালকা স্ন্যাকস হিসেবে এ ড্রাই ফ্রুট খেতে পারেন। এতে শরীরও ভালো থাকবে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গরম ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি ৮ প্রাক্তন ভিসিসহ ২০১ জন

ঢাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রকে ‘হত্যাচেষ্টা’র অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানাসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, শিক্ষক, সাংবাদিক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও আসামি করা হয়েছে। 

ঢাকা মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলাম বুধবার অভিযোগটি আমলে নিয়ে শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২০ মার্চ সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের পক্ষে ছাত্রদলের সাবেক নেতা এম এ হাশেম রাজু আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। 

মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষক আছেন আসামির তালিকায়। তারা হলেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল ও অধ্যাপক আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মুহম্মদ জাফর ইকবাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আনোয়ার হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মীজানুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আবদুল মান্নান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এম অহিদুজ্জামান, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. অনুপম সেন, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু, আলমগীর হোসেন, আবেদ খান প্রমুখ।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে– ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট সকালে মামলার বাদী এম এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে একটি মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরীবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌঁছায়। তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী পথরোধ করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ, হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ গুলিতে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

এদিকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আব্দুন নূর নামে এক সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ ১৬২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা হাফেজ আবুল বাশার গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম এম মিজবাউর রহমানের আদালতে এ মামলা করেন। 

মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, সালমান এফ রহমান প্রমুখ। 

মামলার বাদী আবুল বাশার বলেন, আব্দুন নূর ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় অভিযান নিউজ নামে পত্রিকার রিপোর্টার ছিল। আন্দোলনের সময় ১ আগস্ট সে ঢাকায় আসে এবং যাত্রাবাড়ীতে ৫ আগস্ট গুলিতে মারা যায়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ