১৪ বছর বয়সী ‘জনাব’ সূর্যবংশীকে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর
Published: 30th, April 2025 GMT
ভারতের বিহারের মিথিলা অঞ্চলের সমস্তিপুর থেকে উঠে এসেছেন বৈভব সূর্যবংশী। পরশু রাতে আইপিএলে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে এই ১৪ বছর বয়সীর বিশ্ব রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরির পর তাঁর জন্য ১০ লাখ রুপি অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
আরও পড়ুন১৪ বছর বয়সী বৈভবের বিশ্ব রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে উড়ে গেল গুজরাট ২৮ এপ্রিল ২০২৫গতকাল নিজের এক্স হ্যান্ডলে এ পুরস্কার ঘোষণা করেন নীতীশ কুমার। রাজস্থান রয়্যালসের ওপেনার বৈভবের সঙ্গে গত বছর সাক্ষাতের একটি ছবি পোস্ট করে নীতীশ কুমার লিখেছেন, ‘বিহারের জনাব বৈভব সুর্যবংশীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা, যিনি আইপিএলের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ (১৪ বছর) হিসেবে সেঞ্চুরি করেন। নিজের প্রতিভা ও কঠোর পরিশ্রমে তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন আশা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন.
গুজরাটের ২০৯ রান তাড়া করতে নেমে ১১ ছক্কা ও ৭ চারে ৩৮ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন বৈভব। অনেকের মতে, আইপিএলের ইতিহাসেই অন্যতম অবিশ্বাস্য ইনিংস এটি। বৈভবের অবিশ্বাস্য এই ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ২৫ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জেতে রাজস্থান।
আরও পড়ুন১৪ বছর বয়সে অন্যরা আইসক্রিম খায়, বৈভব সূর্যবংশী বোলারদের পেটায়২৯ এপ্রিল ২০২৫৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম ও ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন বৈভব। আইপিএলে তো বটেই, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেও সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান এখন বৈভব। সেঞ্চুরির সময় তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর ৩২ দিন। ১৭ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পথেও রেকর্ড গড়েন বৈভব। আইপিএলে এটি সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে ফিফটির রেকর্ড।
গত বছর আইপিএলের মেগা নিলামে বৈভবকে ১ কোটি ১০ লাখ রুপিতে কেনে রাজস্থান। গত বছর জানুয়ারিতেই বিহারের হয়ে ১২ বছর ২৮৪ দিন বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয়।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীও নিজের এক্স হ্যান্ডলে বৈভবকে অভিনন্দন জানিয়ে লেখেন, ‘বৈভব সূর্যবংশীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা, যিনি সর্বকনিষ্ঠ বয়সে সেঞ্চুরি করেছেন। বৈভব সূর্যবংশীকে নিয়ে বিহারের প্রতিটি মানুষ গর্বিত। এনডিএ সরকার অ্যাথলেটদের প্রতিটি পদক্ষেপে পাশে আছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১৪ বছর বয়স ১০ ল খ র প র বয়স
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে সীমান্ত এলাকা থেকে যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বাড়ি থেকে রাজু ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মারা গেছেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা। তবে ওই সীমান্তে বিএসএফের গুলির কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় সদর থানা-পুলিশ। নিহত রাজু ইসলামের বাড়ি সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা ঝুলিপাড়া এলাকায়। তিনি বিবাহিত এবং তাঁর তিন ছেলেমেয়ে আছে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, রাজু গতকাল শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলেন। এরপর তিনি কখন বাইরে গেছেন, স্বজনদের কেউ জানেন না। রাত তিনটার দিকে তাঁকে কে বা কারা বাড়ির বাইরে আহত অবস্থায় ফেলে যায়। এ সময় তাঁর চিৎকারে স্বজনেরা ঘুম থেকে উঠে আহত অবস্থায় তাঁকে দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে দেবীগঞ্জ উপজেলার কাছাকাছি গেলে তিনি মারা যান। পরে লাশ বাড়িতে আনা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, প্রথম দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রাজু স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) করে মারা গেছেন। পরে তিনি গিয়ে দেখেন, তাঁর দুটি পায়ের হাঁটু ও আশপাশে গুলির চিহ্ন। ভারত সীমান্তে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে তিনি মারা গেছেন বলে তাঁরা ধারণা করছেন। কারণ, তাঁর পায়ে স্পষ্ট গুলির চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, সকালে বিষয়টি জানাজানির পর বাড়িতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে ওই এলাকায় বিজিবির দুটি টহল দল দায়িত্বরত ছিল। তখন সীমান্তে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিএসএফও গুলি করেনি বলে জানিয়েছে। এমনকি পরিবার থেকে প্রথম দিকে তাঁদের জানানো হয়, তিনি হৃদ্রোগে মারা গেছেন। তবে তিনি যে আহত হয়েছেন, সেটা সীমান্ত এলাকায় হয়েছেন নাকি বাংলাদেশের ভেতরে হয়েছেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শইমী ইমতিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের দুই পায়ে গুলির চিহ্ন আছে, সেটি তাঁরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে গুলি কারা করেছে বা কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, সেটা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।