পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়াম নওয়াজ শরিফ বলেছেন, পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, এত সহজে কেউ এই দেশে হামলা করতে পারবে না। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও দেশের স্বার্থে সবাইকে সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়াতে হবে।

বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের সেনাবাহিনী দেশের প্রতিরক্ষায় সম্পূর্ণ সক্ষম। পাকিস্তানের শত্রুরা জানে—এই দেশ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ।

মরিয়াম নওয়াজ আরও বলেন, আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য যাই থাকুক না কেন, দেশের বিরুদ্ধে যদি কোনও বহিরাগত আগ্রাসন আসে, তাহলে সবাইকে একসঙ্গে সেনাবাহিনীর পাশে ইস্পাতের প্রাচীরের মতো দাঁড়াতে হবে।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।

এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।

তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম খ যমন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মক্ষেত্রে অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত গৌরবময় দিন

শ্রমিক অধিকার আদায়ের দিন মহান মে দিবস আজ। কর্মক্ষেত্রে বঞ্চনা, নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত গৌরবময় দিন। অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য– ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠন বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিনটি উপলক্ষে বুধবার দেওয়া বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে  অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে মে দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম; দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

সরকারি অন্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে– সকাল সাড়ে ৭টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শোভাযাত্রা। শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন এর উদ্বোধন করবেন।

মে দিবস উপলক্ষে গতকাল দেওয়া বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মূল্যস্ফীতির চাপে শ্রমজীবী মানুষ দুঃখ-কষ্টে জীবনযাপন করছেন। গত বছর গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন হয়। এখন শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকার কথা না। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি 

আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়া থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা। এতে ঢাকা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ আশপাশের জেলার নেতাকর্মী অংশ নেবেন।

এ উপলক্ষে গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, শ্রমজীবী মানুষের আয় দিন দিন কমে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি উপলক্ষে আজ সকাল ৯টায় পল্টনে শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামী। উপস্থিত থাকবেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ