রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।

আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বনশ্রীর এফ ব্লক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত দুই ব্যক্তি হলেন আবদুল্লাহ আল নোমান ও মো. পাভেল। তাঁদের বয়স ১৯ থেকে ২০ বছর হতে পারে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাউদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, একটি মোটরসাইকেলে দুই আরোহী ছিলেন। প্রথমে মোটরসাইকেলকে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা ধাক্কা দিলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান। এ সময় মিয়ামী পরিবহন নামের একটি বাস দুই আরোহীকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে মারা যান একজন। অন্যজনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকেও মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি বলেন, দুজনের বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

দুর্ঘটনায় দায়ী বাস ও অটোরিকশার চালক পালিয়েছেন বলেও জানান ওসি দাউদ হোসেন। তিনি বলেন, বাস জব্দ করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ