ভারতে মন্দিরের দেয়াল চাপা পড়ে ৮ জনের মৃত্যু
Published: 30th, April 2025 GMT
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের বিশাখাপত্তনম জেলায় চন্দনোৎসবের অনুষ্ঠান চলাকালে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল আট ভক্তের। মঙ্গলবার গভীর রাতে বিশাখাপত্তনমের প্রসিদ্ধ এক মন্দিরের ভিতরের দেওয়াল আচমকা ভেঙে পড়ে। এতে চাপা পড়ে আট জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় আরো বেশ কয়েক জন।
প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্তও ছিল ভক্তদের ভীড়। ওই সময় আচমকা মন্দিরের প্রায় ২০ ফুট উঁচু একটি দেয়াল ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান ভক্তদের অনেকেই। আহতদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আট জন প্রাণ হারান। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তাঁদের। নিহতদের মধ্যে পাঁচ জন পুরুষ এবং তিন জন মহিলা রয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো তিন জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
বুধবার সকালেও চলছে উদ্ধারকাজ। এখনো কেউ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারপিছু দুই লাখ রুপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। শোকপ্রকাশ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারপিছু ২৫ লাখ রুপি টাকা এবং আহতদের তিন লাখ রুপি আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে।
শাহেদ/সুচরিতা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইম পরিবহন নামের একটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুর থেকে সিলেট যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাত ১টার দিকে বাসটি মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পূর্ব জগৎচর নামক স্থানে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রাতে ৯ জনকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতদের বরাত দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন নার্স জানান, যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন শেরপুর থেকে আসেন। তারা প্রয়োজনীয় উপকরণসহ ছাগল নিয়ে সিলেট মাজারে যাচ্ছিলেন।
হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে হারিছ মিয়া (৫৫) নামে এক যাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্বজন ফজর আলী (৫০) বলেন, তিনি কিশোরগঞ্জের যশোদল গ্রামে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। রাতে তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে বাসে উঠেন। সুনামগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বাকিরা আজ সকালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুর রহমান বলেন, রাতে দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে এসে যাত্রী ও তাদের মালামাল উদ্ধার করি এবং বুঝিয়ে দেই। কম বেশি সব যাত্রীই আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।