‘বিএনপি ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ভাত খাব না’ বলা সেই নাজিমউদ্দিন অসুস্থ, নেওয়া হলো ঢাকায়
Published: 30th, April 2025 GMT
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, দলের প্রতি ভালোবাসা থেকে ১১ বছর ধরে ভাত খাননি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশগাড়িয়া গ্রামের বিএনপি কর্মী নাজামুদ্দিন। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মঙ্গলবার চিকিৎসকরা ঝিনাইদহ থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এ খবর জানতে পেরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অসুস্থ নাজিমউদ্দিনের খোঁজখবর নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নাজিমুদ্দিনকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ঢাকা থেকে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.
দলীয় ও পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, ২০১৪ সালে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে বিতরণের জন্য রান্না করা খিচুড়ি নষ্ট করে দেয় তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী। সেদিন থেকেই নাজিমুদ্দিন প্রতিজ্ঞা করেন, বিএনপি যতদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসবে ততদিন তিনি ভাত খাবেন না। এরপর থেকে গত ১১ বছর ভাত ছাড়াই শুকনো খাবার রুটি-বিস্কুট খেয়েই চলছে তার জীবন। দীর্ঘদিন না খেয়ে থাকা, আর নিয়মিত ধূমপান করায় শারীরিক অবস্থা ভালো নেই নিজাম উদ্দিনের।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা তার চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নিয়েছি। ঢাকার পিজি হাসপাতালের (বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) মেডিসিন বিভাগের প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে। নাজিমুদ্দিনের সম্ভবত আরও কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি। সেখানে পরীক্ষা করে বোঝা যাবে, তার শারীরিক অবস্থা কেমন আছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স র জন য রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’