নর্থ সাউথের ভর্তি পরীক্ষায় পাস করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
Published: 30th, April 2025 GMT
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স ইন পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (ইএমপিজি) প্রোগ্রামে স্নাতকোত্তর করার জন্য ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। সেই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন।
গত শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নর্থ সাউথের ক্যাম্পাসে সশরীর হাজির হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের অধীনে পরিচালিত ওই প্রোগ্রামের সামার সেশনের (২০২৫) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন আসিফ মাহমুদ। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়।
আজ বুধবার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে ওই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে নর্থ সাউথের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ার রিজওয়ান কবির এবং সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (এসআইপিজি) পরিচালক এস কে তৌফিক এম হকের স্বাক্ষর রয়েছে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৯ জনের তালিকায় ৫ নম্বরে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার নাম আছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। আন্দোলনের সময় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। অভ্যুত্থানের সর্বশেষ কর্মসূচি ৬ আগস্টের পরিবর্তে ৫ আগস্টে আনার বিষয়টি তিনিই ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। সব মিলিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা হিসেবে ব্যাপক আলোচিত হন আসিফ মাহমুদ। অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পান কুমিল্লার মুরাদনগরের ছেলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’