মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে খেলোয়াড়েরা আলোচনায় থাকেন সব সময়। তবে এবার আইপিএলে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি আলোচনায় আরও একটি নাম—চম্পক।

এই চম্পক যে কোনো মানুষ নয়, এত দিনে তা সবার জেনে যাওয়ার কথা। এটি আইপিএলের নতুন সংযোজন রোবট কুকুর ক্যামেরার নাম।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) এই ক্যামেরাওয়ালা রোবট কুকুর বানিয়ে দিয়েছে বৈশ্বিক সম্প্রচার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডব্লুটিভিশন ও ওমনিক্যাম। ১৩ এপ্রিল দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে এটি প্রথমবারের মতো দেখা যায়। এরপর থেকে সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার এমনকি ধারাভাষ্যকার, আম্পায়াররাও এটির সঙ্গে মজা করেছেন। দর্শকেরাও এই প্রযুক্তির সংযোজনকে সাধুবাদই জানিয়েছেন।  

সবার আগ্রহ দেখে অনলাইন পোলে আইপিএল কর্তৃপক্ষ জানতে চায় ক্যামেরাওয়ালা রোবট কুকুরের নাম কী হতে পারে। পোলে ‘চম্পক’ নামটি টিকে যায়। কিন্তু এই নামই বিসিসিআইকে বিপদে ফেলতে যাচ্ছে; নিয়ে যাচ্ছে আদালতের চৌকাঠে।

চম্পক নামে একটি শিশুতোষ সাময়িকীও আছে, যা প্রকাশ করছে দিল্লি প্রেস গ্রুপ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ