দেশের উন্নয়নে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য। পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে নিজের দেশের মাটি-মায়াকে পেছনে ফেলে তাঁরা জীবনের সব কঠিন বাস্তবতাকে সঙ্গী করে ভিনদেশের মাটিতে কাজ করেন। আর তাঁদের এই কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগের বিনিময়ে উপার্জিত অর্থই দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাঁদের এই অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে এবং সম্মান জানাতেই দেশের অন্যতম অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ফ্লাইট এক্সপার্ট চালু করেছে একটি বিশেষ সুবিধা ‘রেমিট্যান্স ফাইটার ফেয়ার’।

বিশ্ব শ্রমিক দিবস উপলক্ষে চালু হওয়া এই বিশেষ ফেয়ার মূলত তাঁদের জন্য, যাঁরা প্রথমবারের মতো ‘ওয়ার্ক ভিসা’ নিয়ে বিদেশে যাচ্ছেন। এই অফারের আওতায় তাঁরা পাবেন বিশেষ ছাড়ে ফ্লাইট বুক করার সুযোগ। শুধু মূল্যছাড়ই নয়, যাত্রীদের ভ্রমণকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় ও ঝামেলাহীন করতে থাকছে অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা, ই-সিম সরবরাহ, সিট ও মিল সিলেকশন সুবিধা এবং ব্লু রিবন ব্যাগেজ ইনস্যুরেন্সের মতো বেশ কিছু সেবা।

ফ্লাইট এক্সপার্ট জানায়, এই সুবিধা গ্রহণ করতে হলে যাত্রীদের প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে গিয়ে রুট ও তারিখ নির্ধারণ করে ফ্লাইট সার্চ করতে হবে। এরপর ‘ফেয়ার টাইপ’ অপশন থেকে ‘রেমিট্যান্স ফাইটার’ নির্বাচন করলেই খুব সহজেই কাঙ্ক্ষিত ফ্লাইট বুক করা যাবে। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবার যাঁরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে দেশের বাইরে যাবেন, তাঁরা একটি সুরক্ষিত এবং বাজেট বান্ধব ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাবেন; যা যাত্রার শুরুতেই তাঁদের মধ্যে এনে দেবে একধরনের আত্মবিশ্বাস ও মানসিক স্বস্তি।

এ প্রসঙ্গে ফ্লাইট এক্সপার্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইম বলেন, ‘প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা আমাদের দেশের উন্নয়নের নায়ক। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং আত্মত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা হিসেবে আমরা এই বিশেষ ফেয়ার চালু করেছি। ভবিষ্যতেও ফ্লাইট এক্সপার্ট প্রবাসীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে যাবে।’

ফ্লাইট এক্সপার্ট মনে করে, দূরত্ব যতই থাকুক, ভালোবাসার টানে প্রবাসীরা দেশের সঙ্গে অটুট বন্ধনে জড়িয়ে আছেন। আর সেই বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে, দেশের স্বার্থে আত্মোৎসর্গকারী মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো সবার নৈতিক দায়িত্ব। আর তাই দেশ গড়ার এই নায়কদের পাশে থাকতে পেরে গর্বিত ফ্লাইট এক্সপার্ট।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কে হবে নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন

ভারতের জেমাইমা রদ্রিগেজের চোখে জল, তাঁকে ঘিরে উৎসব করতে তৈরি হয়েছিল বড় একটা জটলাও। ইংল্যান্ডকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের উল্লাসের ছবিটাও সাড়া ফেলেছিল বেশ। এক দিনের ব্যবধানে দুই দলের সেই উচ্ছ্বাস গিয়ে মিলেছিল একই বিন্দুতে—নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল ওঠার আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল তারা।    

কিন্তু এতটুকু তো আর শেষ নয়। দুই দলের সামনেই প্রথমবার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। আজ নাবি মুম্বাইয়েই প্রথমবার এমন নারী বিশ্বকাপ ফাইনাল হচ্ছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কেউই নেই। এই দুই দলের বাইরে শিরোপাজয়ী আরেক দল নিউজিল্যান্ডও বাদ পড়ে গেছে সেমিফাইনালের আগেই। আজ দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের যেই শিরোপা জিতুক, নারী বিশ্বকাপ তাই দেখবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।

এবারের বিশ্বকাপজুড়ে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে ফাইনালে ওঠা দুটি দলই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৯ রানে অলআউট হয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৭ রানে অলআউট হলেও সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েই ফাইনালে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা।  

সেমিফাইনালে ভারতকে জেতানোর পর জেমাইমা ও মান্ধানা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কে হবে নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন
  • ভারত নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা, কে হবে নতুন নারী বিশ্বকাপ চ‌্যাম্পিয়ন
  • বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রতি টিকিটের দাম দেড় লাখ টাকার বেশি
  • গোল্ডেন বুট হাতে এমবাপ্পে বললেন, রিয়ালে আরও বহু বছর থাকতে চাই