‘তাণ্ডব’ সিনেমায় শাকিবের সঙ্গে সাবিলা, বিশেষ চরিত্রে জয়া
Published: 30th, April 2025 GMT
শুটিং শুরুর পরপরই ফাঁস হলো ‘তাণ্ডব’ সিনেমার নায়িকা। সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী সাবিলা নূর— এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে রাজশাহীতে শুটিংয়ের ভিডিও প্রকাশের পর।
নির্মাতাদের পক্ষ থেকে নাম গোপন রাখার চেষ্টা থাকলেও শুটিং লোকেশনে ভক্তদের উপস্থিতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় আর গোপন থাকেনি কিছুই। ভিডিওতে দেখা গেছে, পুঠিয়া রাজবাড়ীতে রোমান্টিক দৃশ্যের শুটিং করছেন শাকিব ও সাবিলা।
তাণ্ডব সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রায়হান রাফী, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল। প্রযোজনায় আছে আলফা আই এসভিএফ এন্টারটেইনমেন্ট। সিনেমাটিতে বিশেষ একটি চরিত্রে থাকছেন জয়া আহসান।
আরো পড়ুন:
প্রেমের কারণেই ইসলাম গ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র
এফডিসিতে প্রবীর মিত্রের জানাজা বাদ জোহর, দাফন আজিমপুরে
আগামী ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে অ্যাকশন ফ্যান্টাসি ঘরানার এই ছবির। শাকিব-সাবিলার জুটি এবারই প্রথম বড় পর্দায়। যদিও শুরুতে সিনেমা থেকে সাবিলার বাদ পড়ার গুঞ্জন ছিল, এমনকি নিদ্রা দে নেহা নামের এক নতুন মুখকে নায়িকা হিসেবে আনার কথাও শোনা গিয়েছিল।
গত ২৪ এপ্রিল থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় চলছে শুটিং, যা চলবে ৬ মে পর্যন্ত। এর আগে ঢাকার এফডিসি ও টঙ্গিতেও শুটিং হয়েছে।
রাজশাহীতে শুটিং চলাকালীন বিভিন্ন জায়গায় ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন নির্মাতারা। গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ীতে ক্যামেরার সামনে আসেন শাকিব-সাবিলা। পরদিন মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজশাহী সুগার মিল এবং তার পাশেই নারকেল গাছে ঘেরা একটি মনোরম রাস্তায় সিনেমার শুটিং হয়। তখনকার ভিডিওগুলোও পাওয়া যাচ্ছে ফেসবুকে। এসব ভিডিওতে শাকিবের নতুন লুক দেখে প্রশংসা করছেন ভক্তরা।
শুটিংয়ের সময় ভক্তদের ভিড় এড়াতে গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) হাইটেক পার্কে দৃশ্যধারণ করা হয় গোপনে। তবুও খবর পেয়ে অনেকেই পার্কের বাইরে ভিড় করেন, যদিও পার্ক কর্তৃপক্ষ কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি।
শুটিং নিরাপত্তার জন্য রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশকে গত ১৩ এপ্রিল একটি চিঠি দেয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এতে জানানো হয়, ২৪ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত বোয়ালিয়া, মতিহার, রাজপাড়া, কাশিয়াডাঙ্গা, শাহমখদুম ও কাটাখালী থানার বিভিন্ন স্থানে শুটিং হবে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, রাজশাহীতে শুটিং নির্বিঘ্নেই চলছে। তিনি বর্তমানে ঢাকায় থাকলেও টিম থেকে এ পর্যন্ত কোনো সমস্যা জানানো হয়নি।
ঢাকা/কেয়া/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন ম হল করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?