‘আগে সাকিব ভাই করতেন, এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি’
Published: 30th, April 2025 GMT
আগের ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি। আজ সেঞ্চুরি করেছেন, বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
এমন অর্জনের পর দলও পেয়েছে ইনিংস ব্যবধানে জয়। স্বাভাবিকভাবেই মিরাজের উচ্ছ্বাসটা একটু বেশি। এর সঙ্গে আলোচনায় তাঁর ভূমিকাও।
একদিন সাকিব আল হাসানের ‘অলরাউন্ডার’ ভূমিকাটা নেবেন মিরাজ—ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বারবার কথাটা শুনতে হয়েছে মিরাজকেও। সেই একদিন কি এসে গেল?
সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের উত্তরে মিরাজ বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের অর্জন অনেক বেশি, আমরা জানি। এই প্রশ্নটা সবাই দেখি করে। সাকিব ভাই সাকিব ভাইয়ের রোল প্লে করেছে। আমার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে বোলিং দিয়ে। পরে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করেছি। যেহেতু আমি ব্যাটিংটা পারি। চেষ্টা করেছি উন্নতি করার। এখন আমি দলকে আরও বেশি সাহায্য করতে পারি। আমি সেভাবে নিজেকে গড়ার চেষ্টা করেছি।’
এরপর মিরাজ তাঁর ভাবনাও স্পষ্ট করেন, ‘আমি নিজের মতো করেই খেলতে চাই।’
সাকিবের সঙ্গেও লম্বা সময় খেলেছেন মিরাজ, সব সংস্করণেই তাঁদের দেখা গেছে একসঙ্গে। কিন্তু সে সময়ের সঙ্গে এখনকার ভূমিকা অনেকটাই বদলে গেছে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে লম্বা সময় একসঙ্গে খেলেছেন সাকিব ও মিরাজ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা