রাবি রেজিস্ট্রারের বাড়িতে গভীর রাতে ককটেল বিস্ফোরণ
Published: 1st, May 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুর্বৃত্তরা তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করে। বুধবার গভীর রাতে নগরীর বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড়ে তার নিজ বাড়ির দরজার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
এদিকে এ হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সেই বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। আমরা দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আলম মাসউদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে ঘটনার পর তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি-ধামকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি! তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্ত আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা! এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব ফেসবুকে লিখেছেন, এই প্রশাসন একটা টিম। এখানে কারো ওপর অন্যায় আঘাত, সকলের ওপর আঘাত। আমরা এই স্পিরিট ধারণ করি। প্রফেসর মাসউদের বাসভবনের গেইটে ককটেল ছোড়া হয়েছে - কথাটি ঠিক নয়। সরাসরি তার বাসায় ছোড়া হয়েছে। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। শাস্তি পেতে হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথায় খুলি প্রায় দুই মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করার পর সফলভাবে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে খুলি পুনঃস্থাপন করেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুন মিয়ার মাথায় সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।
গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মামুন মিয়া।
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, চবিতে সংঘর্ষের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। অপারেশনের সময় তার মাখার খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর সফল অপারেশনের মাধ্যমে শনিবার মামুনের মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
গত ৩০ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে মামুনসহ চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মামুনের মাথার খুলি খুলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক