পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআইপ্রধান
Published: 1st, May 2025 GMT
পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বর্তমান মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারিভাবে দেশের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর বর্তমান মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিককে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি পাকিস্তানের দশম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
গত মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জেনারেল মালিক আইএসআই মহাপরিচালক হিসেবে তার বর্তমান পদও বহাল রাখবেন। তিনি সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে এই পদে আছেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক অবিলম্বে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
তার এই নিয়োগের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো একজন কর্মরত আইএসআই প্রধান একই সঙ্গে এনএসএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সাম্প্রতিক পেহেলগাম হামলার পর ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এই নিয়োগ এল।
২০২২ সালের এপ্রিলে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকার অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে এনএসএ-এর পদটি শূন্য ছিল। সে সময় মঈদ ইউসুফ এনএসএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীদের লাগাতার অনশন কর্মসূচির মুখে অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে।
তবে এই ঘোষণায় সন্তুষ্ট নন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তিন দফা দাবির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ছাড়া অনশন ভাঙবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।
আরো পড়ুন:
জানুয়ারি থেকে বিশেষ বৃত্তি পাবেন জবি শিক্ষার্থীরা
জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জকসু নির্বাচন। এর আগে আগামী ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং কমিশন ১১তম দিনে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবে।
রোডম্যাপ ঘোষণার পরও অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমরা অনশনকারীদের সঙ্গে একমত। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “আমরা শর্তসাপেক্ষ কোনো ঘোষণা মানব না। আমাদের দাবি ছিল তিনটি—শুধু জকসু নির্বাচন ঘোষণা করে হবে না। তাই অনশন চালিয়ে যাব।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, “রোডম্যাপে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বিধি কবে পাস হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি। আবারও আমাদের মুলা দেখানোর চেষ্টা চলছে। এজন্য আমরা অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা; জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আধুনিক সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচে তিন দফা দাবিতে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অংশ নেয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর এবারই প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হলো। কিন্তু ঘোষণায় অস্পষ্টতা ও শর্ত যুক্ত করার অভিযোগে অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী