ক্ষমতায় গেলে নারীদের মর্যাদা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে: জামায়াত আমির
Published: 1st, May 2025 GMT
জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ব শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান এ কথা বলেন। ঢাকার পুরানা পল্টনে এই সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।
সমাবেশে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রতিপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়ায়, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীদের আর কোনো কাজ করতে দেবে না, ঘর থেকে বের হতে দেবে না। আমরা বোনদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, তাঁরা তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী পছন্দের কর্মক্ষেত্রে কাজ করবেন।’ এখন দেশে নারীদের কোনো সম্মান, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নেই, বলেন জামায়াতের আমির।
শ্রমিক দিবসের সমাবেশেশফিকুর রহমান বলেন, ‘মিল-ফ্যাক্টরির উদ্যোক্তারা (মালিকপক্ষ) সহকর্মী শ্রমিক-কর্মচারীদের উপযুক্ত মূল্যায়ন করেন না, তাঁদের শ্রমের মর্যাদা দেন না। এটি যেমন বাস্তবতা, আরেকটি বাস্তবতা হলো, তাঁরা নির্যাতনের শিকার হন চাঁদাবাজদের হাতে। চাঁদাবাজরা বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন দিবস পালনের জন্য তাঁদের কাছে হাজির হয়। আমরা এটি চাই না।’
বাংলাদেশে কর্ম-উপযোগী ৭০ শতাংশ মানুষ শ্রমজীবী। তাঁদের উপেক্ষা করে কোনো সমাজ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না বলেন জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, ‘আমরা পারস্পরিক বোঝাপড়ায় যে টেকসই সমাজ গড়ার কথা বলছি, সে সমাজ আল্লাহর আইন ছাড়া কোনো কিছু দিয়েই গড়ে তোলা সম্ভব নয়।’
ঢাকার পুরানা পল্টনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ব শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। এই সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র আম র
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।