কাশ্মীরে হামলাকারীদের কড়া বার্তা অমিত শাহের
Published: 1st, May 2025 GMT
কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় জড়িতদের উদ্দেশে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যায় জড়িতদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করবে ভারত। খবর এনডিটিভির।
স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের জন্য এখনও খারাপ সময় আসেনি। পেহেলগামে যারা ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। আমরা পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিটি অপরাধীকে খুঁজে বের করব। ভেবো না যে ২৬ জনকে হত্যা করে তোমরা জিতেছ। তোমাদের প্রত্যেককে জবাবদিহি করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হার ব্যক্তি কো চুন চুন কে জবাব ভি মিলেগা, জবাব ভি দিয়া জায়েগা.
২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা, মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা কিছু সময় নীরবতা পালন করেন। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী সদস্য প্রমোদ বোরোও দিল্লির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কখন, কোথায়, কীভাবে হামলা চালানো হবে তা ঠিক করতে সশস্ত্র বাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজ বাসভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান-সহ তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। সেখানেই মোদি স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন যে, যখন খুশি, যেখানে খুশি পেহেলগামে হামলার বদলা নিতে পারে ভারতীয় সেনা, বিমান ও নৌ-বাহিনী। কীভাবে হামলা চালানো হবে, কীভাবে পরিকল্পনা করা হবে- সে সব সিদ্ধান্তও স্বাধীনভাবেই নেবে এই তিন বাহিনী।
দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সর্বশেষ সবচেয়ে বড় উত্তেজনা দেখা দেয় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যখন ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) একটি কনভয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলার প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) গভীরে একটি সন্ত্রাসী শিবিরে বোমা হামলা চালায়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ
বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।
দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।
পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’
সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসীসম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।
এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।
সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।
রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা