টাঙ্গাইলে গুচ্ছভূক্ত ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষ
Published: 2nd, May 2025 GMT
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ জিএসটি গুচ্ছভূক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হবে।
বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে চলা পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্ন, সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশে আয়োজনের লক্ষ্যে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ও গুচ্ছভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.
কমিটির আহ্বায়ক গত ২৫ এপ্রিলে অনুষ্ঠিত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার মতো ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালীন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরসমূহের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
একই সঙ্গে, এই বৃহৎ পরিসরের পরীক্ষা আয়োজনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্ব স্ব দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সকল পরীক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারবর্গকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। সেই সঙ্গে তাদের যাত্রা ও পরীক্ষার দিনগুলো যেন নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ হয়- সে প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ, ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৭২ হাজার ৬২ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা গত ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় এবং ২৮ এপ্রিল ফলাফল প্রকাশিত হয়। আগামী ৯ মে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/কাওছার/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ত পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।