নতুন রূপে মেটা এআই, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
Published: 2nd, May 2025 GMT
এত দিন হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার নিজেদের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ভার্চ্যুয়াল সহকারী সেবা ‘মেটা এআই’–এর অ্যাপ উন্মুক্ত করেছে মেটা। অ্যাপ চালুর ফলে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জার ছাড়াও যেকোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে ভার্চ্যুয়াল সহকারী সেবাটি। এর মাধ্যমে মেটা এআই ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেটার তথ্যমতে, মেটা এআই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট–সংশ্লিষ্ট তথ্য, ব্যবহারের ধরন ও প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে প্রাসঙ্গিক ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক উত্তর জানাতে পারে। মেটার সর্বশেষ লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল ‘এললামা ৪’ কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে অ্যাপটি। এললামা ৪ আগের সংস্করণের তুলনায় বেশ দক্ষ, একাধিক ভাষায় কাজ করার পাশাপাশি জটিল প্রশ্নের উত্তর যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে বলতে পারে।
মেটা এআই অ্যাপ মেটার স্মার্ট এআইচালিত চশমাতেও ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে অ্যাপটি মেটার এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিধি আরও বিস্তৃত করবে। তাই নতুন এ উদ্যোগ মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি খাতে অবস্থান শক্ত করার কৌশলের অংশ বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হওয়া মেটা এআই মূলত ভার্চ্যুয়াল সহকারী, যা লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেলের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, জটিল তথ্য বিশ্লেষণ ও যুক্তিনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
সূত্র: সিএনএন
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’