ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে গুচ্ছভুক্ত ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। 

শুক্রবার (২ মে) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ইবির পাঁচটি ভবনে এ পরীক্ষা হয়। ইবি কেন্দ্রের ৬ হাজার ৯২৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ৬৪৭ জন। উপস্থিতির হার ৯৬ শতাংশ।

পরীক্ষা চলাকালে হলগুলো পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামানসহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তা।

পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ, র‍্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা, ট্রাফিক পুলিশ এবং বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটসের সদস্যরা। যেকোনো ধরনের অপরাধ দমনে ছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত। শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে বুথ স্থাপন করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন।

পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। শিক্ষার্থীরা ভালোভাবেই পরীক্ষা দিয়েছে। প্রতিটি ভবনে পরীক্ষার্থীর উপস্থিতি ভালো ছিল।

ঢাকা/তানিম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ ত পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ