সালথায় নসিমন-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রাণ গেল কলেজ শিক্ষার্থীর
Published: 2nd, May 2025 GMT
ফরিদপুরের সালথায় নসিমন-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে জিসান খান (১৮) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত জিসান সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মোড়হাট গ্রামের হেলাল খানের ছেলে। তিনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সালথা উপজেলার সদরের কাউলিকান্দা এলাকায় সালথা-ফরিদপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালথা থানার ওসি তদন্ত মারুফ হাসান রাসেল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ শুক্রবার দুপুরে সালথা বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ির যাচ্ছিলেন জিসান। পথে সালথা-ফরিদপুর সড়কের কাউলীকান্দায় বিপরীত দিক থেকে আসা ইটবোঝাই একটি নসিমনের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন জিসান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে হাঁড়িভাঙা আম বাজারজাতকরণ শুরু
রংপুরের মিঠাপুকুরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত শুরু হয়েছে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃত সুস্বাদু হাঁড়িভাঙা আম।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে পদাগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল।
উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের যৌথ আয়োজনে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুলতামিস বিল্লাহ। সভায় কৃষি বিভাগ, আমচাষি, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য দেন।
স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইফুল আবেদীন জানান, এ বছর মিঠাপুকুরে ১,৩০০ হেক্টর জমিতে ২৬ হাজার মেট্রিক টন হাঁড়িভাঙা আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ বছর হাঁড়িভাঙ্গা আম প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকা বিকিনি হবে বলে ধারণা করেন তিনি। তবে আমের মান ধরে রাখতে তিন–চার ইঞ্চি বোঁটাসহ আম সংগ্রহ, কুসুম গরম পানিতে ধৌতকরণ ও বরিক অ্যাসিড দিয়ে প্লে করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি জানান, হাঁড়িভাঙা আমের রপ্তানির লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গুণগত মান ধরে রাখতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে, চাষিরা অভিযোগ করেন, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ তারিখ পরিবর্তনের কারণে বাজারে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। প্রতিবছর জেলা প্রশাসন তারিখ ঘোষণা করলেও এবার আগে জানানো হয়নি। কৃষি বিভাগ ২০ জুন তারিখ নির্ধারণ করলেও তা পাঁচ দিন এগিয়ে আনা হয়।
চাষিরা আরও অভিযোগ করেন, পদাগঞ্জ বাজারের রাস্তা-মার্কেট অবকাঠামো দুর্বল এবং ব্যাংকের কোনো শাখা নেই, যা বিপণনে ভোগান্তি বাড়ায়। রংপুর থেকে পদাগঞ্জের দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। বদরগঞ্জ থেকে ১২ কিলোমিটার হলেও সড়ক উন্নয়ন হয়নি।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (উদ্যান) হাবিবুর রহমান বলেন, “চলতি মৌসুমে অতিরিক্ত গরমে আম দ্রুত পেকে গেছে। হাঁড়িভাঙা আম পাকলে নরম হয়ে যায় এবং ভেতরে গলে যায়। এ সমস্যা সমাধানে আমকেন্দ্রিক শিল্পকারখানা গড়ে তোলা জরুরি।”
রংপুর জেলা প্রশাসক বলেন, “বিশ্ববাজারে রপ্তানির জন্য হাঁড়িভাঙার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। অতিরিক্ত হরমোন বা কার্বাইডের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।”
তিনি পদাগঞ্জের যোগাযোগব্যবস্থা উন্নয়নের আশ্বাস দেন এবং পরে বাজার এলাকা ঘুরে দেখেন। ব্যবসায়ীরা বাজারের জমি নির্ধারণ, শেড নির্মাণ, ড্রেনেজ ও সড়ক উন্নয়নের দাবি জানান।
সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ছাড়াও পদাগঞ্জের আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/আমিরুল/এস