খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে এক তরুণীকে (১৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ মে) লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. খালেদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জুর্গাছড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো.

মাফিজুল ইসলাম ও আবু তালেব গাজী।

আরো পড়ুন:

চকরিয়ায় ধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

সাভারে পোশাক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ছড়ায় গোসলে যান ভুক্তভোগী। এসময় আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা অজ্ঞাত দুই যুবক ওই তরুণীকে মুখ চেপে আড়ালে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখেন।

ওসি মু. খালেদ হোসেন বলেন, ‘‘ভুক্তভোগী অভিযুক্তদের দৈহিক বর্ণনা দিয়েছেন। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/রূপায়ন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বরগুনায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রধান আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে স্বীকারোক্

বরগুনার তালতলীতে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহীম ওরফে জসিম (২২) গ্রেপ্তার হয়েছে।  

শুক্রবার (২ মে) পাথরঘাটার চরদুয়ানি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে তালতলী থানা পুলিশ।

আসামি ইব্রাহীম ওরফে জসিম পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রামের আ. মজিদ হাওলাদারের ছেলে।

তালতলী থানা পুলিশ জানায়, গত ২৮ এপ্রিল কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার পর থেকেই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ইব্রাহীমের অবস্থান শনাক্ত করে শুক্রবার ভোরে তালতলী ও পাথরঘাটা থানা পুলিশের সহয়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।

পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল জানান, ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গণধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়। 

মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/ইমরান/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ