হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ জেলায় একসময়ের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ কৃষি পদ্ধতিতে লেগেছে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া, বদলে যাচ্ছে চাষপদ্ধতি; যে কারণে কৃষিশ্রমিকদের বন্দোবস্তে পরিবর্তন আসছে; পেশা বদলাচ্ছে অনেকে।

সুনামগঞ্জে ফসলি জমিতে পানি সেচ দেওয়া হতো সনাতন পদ্ধতির কোণ বা দোংগা দিয়ে। লাঙল-জোয়াল ব্যবহার করে গরু-মহিষ দিয়ে হালচাষের ধারা বহু প্রাচীন হলেও বর্তমানে সেই জায়গা নিয়েছে ট্রাক্টর ও পাওয়ারট্রিলারসহ প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্র। ধান রোপণ ও কাটায় প্রযুক্তিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে।

ফলে কৃষিতে কর্মসংস্থান হারাচ্ছে শ্রমিক। অনিচ্ছায় পেশা বদলের যে ঝক্কি, তাতে বাড়ছে দুর্গতি। কৃষিকাজে অভিজ্ঞ শ্রমিক বাধ্য হয়ে কাজের খোঁজে নগরমুখী হচ্ছেন, কেউ কেউ এলাকায় ইজিবাইক চালাচ্ছেন; কেউবা হচ্ছেন রিকশা চালক ও রাজমিস্ত্রি।

আরো পড়ুন:

চা শ্রমিকদের জীবন: সামান্য বেতনে বেঁচে থাকার সংগ্রাম

সমান কাজ করেও কম মজুরি পান আদিবাসী নারীরা

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক দিলাল উদ্দিন। কৃষি শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে ১ মে (বৃহস্পতিবার) রাইজিংবিডি ডটকম কথা বলে তার সঙ্গে।

একসময় শত শত শ্রমিক নিয়ে বৈশাখ মাসের রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে, শরীরের ঘাম ঝরিয়ে সোনার ফসল গোলায় তুলতে ব্যস্ত থাকতেন মাঠে। বর্তমানে তার আর সেই অবস্থা নেই। 

রাইজিংবিডি ডটকমকে দিলাল উদ্দিন বলেন, “আগে হাওরের কৃষকশ্রমিকের অভাব ছিল না। বর্তমানে সব মেশিনের কারবার, প্রথমে এক মেশিনে হাল চাষ করি, আরেক মেশিন দিয়ে ধানের জালা রুই, আরেক মেশিন দিয়ে ধান কাটাসহ মাড়াই দেই।”

“দু-একজন শ্রমিক দিয়েই এখন এত সব কাজ হচ্ছে। আগে এগুলো শ্রমিকরা করতেন। বৈশাখ এলে শ্রমিকদের আয়ের একটা পথ বের হতো। এই মেশিনগুলো বের হওয়ায় কৃষি-শ্রমিকদের ক্ষতি হয়েছে। আর বড়লোকদের জন্য আবার মেশিন খুব ভালো হয়েছে,” বলেন তিনি।

দিলাল উদ্দিন বলছেন, কৃষিশ্রমিকদের কাজ করিয়ে আগে তার ৫০ থেকে ৬০ মণ ধান গোলায় উঠত। এখন সব মেশিনে করলেও গোলায় ওঠে সামান্যই।

তিনি বলেছন, “ধান কেটে মেশিনওয়ালাদের দেওয়া লাগে ২ হাজার টাকা, ধান ভাঙাতে (চাল বানাতে) ৫০০। এর আগে আবার তেলের মেশিন চালিয়ে পানি দেওয়া লাগে হাজার হাজার টাকার। সব মিলিয়ে আমরা শেষ।”

সুনামগঞ্জের হাওরে ১ হাজার ১৫৫টি মেশিনের পাশাপাশি এবার ধান ওঠানোর কাজ করছেন প্রায় দেড় লাখ কৃষিশ্রমিক।

 সুনামগঞ্জ সদরে ‘দেখার হাওর’ বেশ পরিচিত একটি হাওর। সেখানে কৃষক মঞ্জুর আলীর সঙ্গে কথা হলে রাইজিংবিডি ডটকমকে তিনি বলেন, “এখন কৃষিকাজের জন্য শ্রমিক নিতে হলে ৫০০ টাকার বেশি দিতে হয়, তাও এই টাকা দিলেও তাদের পোষায় না। কারণ নিত্যপণ্যের যে চড়া দাম, তেল বলেন আর পেঁয়াজ বলেন, সব কিছুর দাম সীমাহীন।”

“তো, এই কৃষিশ্রমিকরা কেমনে বাঁচবেন?” প্রশ্ন ছুড়ে দেন মঞ্জুর আলী।

তিনি বলছেন, কৃষকরা এখন ধান চাষ করে মৌসুম শেষে খরচ হিসাব করে দেখেছেন ধানের যে দাম পাওয়া যাচ্ছে, তা ব্যয়ের প্রায় সমান। কৃষিযন্ত্র ব্যবহার করেও পোষানো যাচ্ছে না; আবার শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়েও একই ফল দাঁড়াচ্ছে।

মঞ্জর আলী বলছেন, “এসব কারণে বেশিরভাগ কৃষিশ্রমিক অন্য কাজের কাজের পথে হাঁটছেন। আমাদের এই এলাকায় যারা আগে কৃষিকাজ করতেন, তাদের মধ্যে অনেক যুবক ঢাকা, চট্রগ্রামে চলে গেছেন কৃষিকাজে লাভ নেই দেখে।”

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, “এবার জেলার হাওরগুলোতে ধান কাটার কাজে রয়েছেন প্রায় দেড় লাখের বেশি শ্রমিক। তাদের মধ্যে স্থানীয় শ্রমিকের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শ্রমিকও কাজ করছেন।

সুনামগঞ্জের কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, শ্রমিকদের পাশাপাশি ধানের কাজ করছে ১ হাজার ১৫৫টি মেশিন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ৩৫টি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার ও ১২০টি রিপার মেশিন।”

হাওরে মেশিন আসায় এখন উভয় সংকটে পড়তে হচ্ছে বলে রাইজিংবিডি ডটকমকে জানালেন কৃষক ফরমুজ মিয়া।

তিনি বলেছেন, “আমরা আগে গৃহস্থ করেছি, খুব আনন্দের সাথে। দেশে নাইয়া (শ্রমিক) আইতো ধান কাটার জন্য, এখন নাইয়া নাই। এখন মেশিনে ধান কাটে। মেশিনে দুই হাজার টাকা করে ধানের কিয়ার কাটছি। কিন্তু মেশিনও কম, দুই একটা মেশিনে কাভার করা যায় না। বাড়তি টাকা দিয়ে মেশিন এনে ধান কাটানো লাগে।”

“মেশিনের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। এখন মেশিনও নাই, নাইয়াও নাই। বড় বিপাকেই পড়ছি আমরা,” যোগ করেন ফরমুজ মিয়া। 

তানিম তালুকদার। আগে কৃষি শ্রমিক ছিলেন। সেই পেশা ছেড়ে দিয়ে টাইলস মিস্ত্রি হয়েছেন। তার সঙ্গে কথা হয়েছে রাইজিংবিডি ডটকমের।

তিনি বলেন, কৃষি কাজ করে এখন আর পেট চলে না। বাধ্য হয়েই এখন এই (টাইলস মিস্ত্রি) কাজে এসেছি। প্রতি মাসে কাজ করতে পারলে মোটামোটি চলা যায়।”

আরেকটি বাস্তবতার কথা বলছেন তানিম তালুকদার। তিনি বলছেন, ধানের কাজ ছাড়া সারা বছর তেমন কিছু করার থাকে না। তার সঙ্গে এখন প্রযুক্তিযন্ত্র এসেছে; ফলে কৃষিশ্রমিকদের কাজ খুবই কমে গেছে।

তিনি বলছেন, “এখন মেশিন আসায় ১০ জন শ্রমিকের কাজ সেটি একাই করছে। ফলে ধানের মালিকরা আর আমাদের ডাকে না। নিরুপায় হয়েই টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করছি।” 

সুনামগঞ্জের ‘দেখার হাওরে’ পাকা ধানের ক্ষেত। 

কৃষিশ্রমিকের সংখ্যা কমে যাওয়ার আরেকটি কারণের কথা বলছেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম ছদরুল। তার বক্তব্য অনুযায়ী, জমির মালিকানা বর্তমানে অনেক কৃষকের কাছে নেই। সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৭২ শতাংশ কৃষক ভূমিহীন।

তিনি বলছেন, “যেহেতু কৃষকের কাছে জমি নেই, সে এমনিতেই সর্বহারা। কিন্তু তার তো কাজের দরকার, কাজের সন্ধানে বিভিন্ন শহরে গিয়ে রিকশা চালাচ্ছেন, হোটেলে কাজ করছেন, যা কাজ পাচ্ছেন তাতেই শ্রম দিচ্ছেন।”

কৃষিতে কৃষক ও কৃষিশ্রমিকের বহুমুখী সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য বাস্তবসম্মত সমবায় খামার গড়ে তোলার কথা বলছেন সাইফুল আলম ছদরুল।

তিনি বলছেন, “সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে হলে কৃষকদের দিয়ে খামারের ব্যবস্থা করতে হবে। পরিকল্পিত আধুনিকায়ন করতে হবে।”

শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রটা সুনামগঞ্জসহ সারা দেশেই সংকটে রয়েছে বলে মন্তব্য করে শ্রমিক নেতা ছদরুল বলছেন, “তবে সুনামগঞ্জে একেবারে এই সংকটটা বেশি। সুনামগঞ্জে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের যে সম্ভাবনা ছিল, সে দিকে তো সরকারের নজর নেই।”

তিনি বলছেন, “শ্রমিকদের জন্য আরো কিছু ক্ষেত্র ছিল আমাদের সুনামগঞ্জ অঞ্চলে। বালু ও পাথর মহালে কৃষকরা কাজ করতে পারতেন, এরপর হাওরেও কৃষকরা জেলের কাজ করতেন। এগুলো রাষ্ট্রীয় কিছু নীতির দুর্বলতার কারণে চলে গেছে ব্যক্তির হাতে। বালু ও পাথর মহাল লুটপাট হয়েছে। ফলে শ্রমিকদের কর্মের আরো সংকট দেখা দিয়েছে।”

কৃষিশ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র সংকুচিত হওয়ার প্রভাবে সুনামগঞ্জে দারিদ্র্য বেড়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে ছদরুল বলছেন, “এভাবে চলতে থাকলে তা আরো বৃদ্ধি পাবে।”

কৃষকদের ভাষ্য তুলে ধরে সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সুনামগঞ্জে এবার কোনো শ্রমিক সংকট নেই। এখন প্রতি বছরই শ্রমিকের পাশাপাশি মেশিনে ধান কাটা হয়।”

“কিন্তু আগে যখন মেশিন বের হয়নি, তখন জামালপুর, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কৃষকরা শ্রমিক ভাড়া করে নিয়ে আসতেন। কিন্তু যন্ত্রের ব্যবহারে বৃদ্ধি পাওয়াতে কৃষকরা এখন আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করছেন। এতে দ্রুত ধান ঘরে তোলা যায়; আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া যায়।” 

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন মগঞ জ র র ব যবহ র ক জ করত ক জ করছ র হ ওর র জন য ক জ কর ক ষকর বলছ ন করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রমশ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছেন খামেনি

ইরানের ৮৬ বছর বয়সী সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ক্রমশ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছেন। মঙ্গলবার এক বিশেষ প্রতিবেদনে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার সাথে পরিচিত পাঁচজন ব্যক্তির মতে, খামেনি তার প্রধান সামরিক ও নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হতে দেখেছেন, যা তার অভ্যন্তরীণ বৃত্তে বড় ধরনের শূন্য স্থান তৈরি করেছে এবং কৌশলগত ভুলের ঝুঁকি বাড়িয়েছে।

খামেনির সাথে নিয়মিত বৈঠকে যোগদানকারী এই সূত্রগুলির মধ্যে এক জন তেহরানের প্রতিরক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার বিষয়ে ইরানের ভুল গণনার ঝুঁকিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে বর্ণনা করেছেন।

শুক্রবার থেকে বেশ কয়েকজন সিনিয়র সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছে ইরানের অভিজাত সামরিক বাহিনী রেভুলিউশনারি গার্ডের সামগ্রিক কমান্ডার হোসেইন সালামি, এর মহাকাশ প্রধান আমির আলী হাজিজাদেহ যিনি ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ কাজেমি রয়েছেন।

সূত্র অনুসারে, এই ব্যক্তিরা সর্বোচ্চ নেতার অভ্যন্তরীণ বৃত্তের অংশ ছিলেন যাদের মধ্যে রক্ষী বাহিনীর কমান্ডার, ধর্মগুরু এবং রাজনীতিবিদরা ছিলেন। এই তিনজন ব্যক্তি প্রধান বিষয় নিয়ে নেতার সাথে বৈঠকে যোগ দিতেন এবং দুজন ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা এসব বৈঠকে নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন।

এই দলটি খামেনির কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করতেন। তারা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের আদর্শের প্রতি অটল অনুগত ছিলেন।

ইরানের সরকার ব্যবস্থার অধীনে খামেনি সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ড, যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা রাখেন এবং সামরিক কমান্ডার ও বিচারকসহ ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের নিয়োগ বা বরখাস্ত করতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে খামেনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন, যদিও তিনি পরামর্শকে মূল্য দেন, বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং প্রায়শই তার পরামর্শদাতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত তথ্য খোঁজেন।

ওয়াশিংটনের মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউট থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের ইরান প্রোগ্রামের পরিচালক অ্যালেক্স ভাতাঙ্কা বলেন, “খামেনি সম্পর্কে আপনি দুটি কথা বলতে পারেন: তিনি অত্যন্ত একগুঁয়ে কিন্তু অত্যন্ত সতর্ক। তিনি অত্যন্ত সতর্ক। এ কারণেই তিনি এতোদিন ধরে ক্ষমতায় আছেন। খামেনি মৌলিক খরচ-সুবিধা বিশ্লেষণ করার জন্য বেশ ভালো অবস্থানে আছেন যা আসলে মৌলিকভাবে অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের দিকে নিয়ে যায়: শাসনব্যবস্থার টিকে থাকা।”

ইসরায়েলি হামলা সেসব বিপ্লবী গার্ড কমান্ডারদের ধ্বংস করে দিয়েছে যাদেরকে খামেনি ১৯৮৯ সালে সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার পর থেকে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছিলেন। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক কৌশল উভয়ের জন্যই তিনি এদের উপর নির্ভর করেছিলেন।

ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক মুহূর্তে খামেনি এই অঞ্চলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাদের হারানোর কারণে নিজেকে আরো নিঃসঙ্গ মনে করে থাকতে পারেন। কারণ ইরানের ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ জোট ইসরায়েলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ, যিনি ব্যক্তিগতভাবে ইরানি নেতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন এবং ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে বিদ্রোহীরা উৎখাত করেন।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ