ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় নির্মাণাধীন বাড়ির মাটিচাপায় পড়ে নজরুল ইসলাম (৫২) নামে একজন যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার (৩ মে) দুপুর ১ টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার গৌপিনাথপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নজরুল ইসলাম গৌপিনাথপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি ৬নং ত্রিলোচনপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।  

স্থানীয়রা জানান, বিগত সরকারের সময়ে নজরুল ইসলাম বাড়ি থাকতে পারতেন না। কয়েকটি মামলারও আসামি ছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি নিয়মিত বাড়ি থাকা শুরু করেন। দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছেন। কিছুদিন পূর্বে তিনি বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ সময় মাটি ফেলেছিলেন। নির্মাণাধীন বাড়ির পিলার বাঁকা হওয়ায় মাটি সরিয়ে সেটি পুনরায় মেরামত করার কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ মাটি ধ্বসে চাপা পড়েন তিনি। পরে স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মাটি খুঁড়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

কালীগঞ্জ ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্স সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে মাটির নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।”

কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ