নির্মাণাধীন বাড়ির মাটিচাপায় পড়ে যুবদল নেতার মৃত্যু
Published: 3rd, May 2025 GMT
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় নির্মাণাধীন বাড়ির মাটিচাপায় পড়ে নজরুল ইসলাম (৫২) নামে একজন যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৩ মে) দুপুর ১ টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার গৌপিনাথপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নজরুল ইসলাম গৌপিনাথপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি ৬নং ত্রিলোচনপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, বিগত সরকারের সময়ে নজরুল ইসলাম বাড়ি থাকতে পারতেন না। কয়েকটি মামলারও আসামি ছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি নিয়মিত বাড়ি থাকা শুরু করেন। দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছেন। কিছুদিন পূর্বে তিনি বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ সময় মাটি ফেলেছিলেন। নির্মাণাধীন বাড়ির পিলার বাঁকা হওয়ায় মাটি সরিয়ে সেটি পুনরায় মেরামত করার কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ মাটি ধ্বসে চাপা পড়েন তিনি। পরে স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মাটি খুঁড়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
কালীগঞ্জ ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্স সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে মাটির নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।”
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাওলানা রইসের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে হরতালের হুশিয়ারি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন কাদেরীকে মব সৃষ্টি করে যারা হত্যা করেছে তদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে হরতালে পালনের হুশিয়ারি দিয়েছেন সুন্নিরা। একই সঙ্গে রোববার ‘মার্চ টু গাজীপুর’ সফল করার আহ্বান জানানো হয়।
শনিবার চট্টগ্রামের লালদীঘি চত্বরে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআতের উদ্যোগে সমাবেশে অধ্যক্ষ মুফতি অছিয়র রহমান আলকাদেরী সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- শায়খুল হাদিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী, পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর, পীর অধ্যক্ষ আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মুফতি আবুল কাশেম ফজলুল হক, মুহাদ্দিস আল্লামা আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, অ্যাডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আমিরী, আল্লামা শাহ নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী, আল্লামা আনিসুজ্জামান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, এইচ এম মুজিবুল হক শাক্কুর, অধ্যাপক জালাল উদ্দীন আজহারী, ফজলুল করিম তালুকদার, মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন তৈয়্যবী, অধ্যাপক সৈয়দ হাফেজ আহমদ, অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দীন, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম আখতারী প্রমুখ।
সভায় আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী বলেন, ‘বৈষম্য ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্তরায়। এত বছরেও শহীদ আল্লামা নুরুল ফারুকী হত্যার বিচারের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এবার গাজীপুরে মসজিদের ইমাম মাওলানা রইস উদ্দিনকে মিথ্যা অপবাদে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধ ও মব সৃষ্টিকারীদের শাস্তির বিকল্প নেই। অথচ, পুলিশ-প্রশাসন মামলা পর্যন্ত নেয়নি। পুলিশ কার ইন্ধনে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করছে আমরা জানি না। খুনিদের গ্রেপ্তারে গড়িমসি করলে পরবর্তীতে যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ-প্রশাসন দায়ী থাকবে। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা হরতালের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
সভায় বক্তারা বলেন, ‘আমরা রইস হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলন করছি। অন্যদিকে সরকার রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ মানবিক করিডোরের মাধ্যমে দেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। অবিলম্বে করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। একইভাবে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলাম বিরোধী সুপারিশ আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’