তিস্তা নিয়ে রংপুরে আবারও গণপদযাত্রার ডাক
Published: 3rd, May 2025 GMT
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেছেন, “বিগত ১৫ বছরে ক্ষমতায় থেকেও তিস্তা নদী নিয়ে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। এমনকি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত তিস্তা ইস্যুতে নেই কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ। শুধু তিস্তাপাড় নয়, রংপুর অঞ্চলও নানাভাবে উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার।”
শনিবার (৩ মে) দুপুরে রংপুর নগরীর নর্থভিউ হোটেলের কনফারেন্স হলরুমে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, “বন্দরের উন্নয়নে সরকার ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে কোনো বাজেট ঘোষণা নেই। প্রধান উপদেষ্টা চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেও তিস্তা নিয়ে কোনো স্পষ্ট অগ্রগতি জানানো হয়নি। ফলে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা ও উদ্বেগের জায়গায় কোনো ইতিবাচক বার্তা আসেনি। যা পাড়ের হাজারো মানুষের মনে হতাশার জন্ম দিয়েছে।”
এ অবস্থায় রংপুরবাসীর দাবি ও মর্যাদা রক্ষার লক্ষ্যে আগামীকাল (রবিবার) আবারও রংপুর বিভাগীয় নগরীতে তিস্তা ইস্যুতে গণপদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে অংশ নেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুসহ তিস্তাপাড়ের হাজারো মানুষ।
ভূ-রাজনীতির দৌরাত্ম্য ছাপিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতা কামনা করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপি নেতা আসাদুল হাবীব দুলু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র রংপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর কমিটির আহবায়ক শামসুজ্জামান শামু, কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক ভরসাসহ তিস্তা নদীরক্ষা আন্দোলনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা/আমিরুল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীবরদীতে ভারতীয় জিরা নিয়ে তুলকালাম
শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে ১৬ বস্তা ভারতীয় চোরাই জিরা ও কাপড় আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় স্বার্থান্বেষী একটি মহল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সেসব জিরা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অন্য একটি পক্ষ আবার সেই জিরা আটক করে। এ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে হাসধরা এলাকায় দ্বিতীয়বার আটক হয়। এসময় স্থানীয়রা বেশকিছু বস্তা জিরা লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামাল উদ্ধার করে তাওয়াকুচা বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে ভারতীয় চোরাই জিরা ও কাপড় বোঝাই একটি ট্রলি ঝিনাইগাতী থেকে ভায়াডাঙ্গা বাজার দিয়ে শ্রীবরদী হয়ে শেরপুরের দিকে যাচ্ছিলো। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ট্রলিটি আটক করে। এসময় ট্রলি চালক কৌশলে পালিয়ে যায়।
সেসময় স্থানীয় অপর একটি পক্ষ সুকৌশলে আরেক চালককে দিয়ে ট্রলিটি সরিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার সাথে সাথে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে হাসধরা এলাকায় ট্রলিটি আবার আটক হয়। এসময় প্রায় অর্ধেক মালামাল লুট করে এক পক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইমন আকন্দ বলেন, “আমরা ভায়াডাঙ্গা বাজারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। পরবর্তীতে স্থানীয় কয়েকজন নেতা নতুন করে অন্য ড্রাইভার দিয়ে ট্রলি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা অবৈধ পাচার হওয়া মালামাল জব্দ হোক এটাই চাই। এছাড়াও যারা মালামাল লুট করেছে এবং এই পাচারের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।”
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী তাওয়াকুচা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আতিয়ার রহমান বলেন, “আমরা স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৬ বস্তা অবৈধ মালামাল জব্দ করেছি। এই ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।”
শ্রীবরদী থানার উপ-পরিদর্শক সুলতান আহমেদ বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বেই বিজিবি মালামাল জব্দ করেছে। এই ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/তারিকুল/এস