জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, ‘এনসিপির শুক্রবারের সমাবেশ আপনারা দেখেছেন। ওই সমাবেশে সবমিলিয়ে এক হাজারের মতো লোক হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক লোক ছিল ভাড়া করা ভদ্রমহিলা। তারা যে নিজেদেরকে এত মেধাবী ও তারুণ্যদীপ্ত দাবি করেন, তাদের সমাবেশ দেখে কী তারুণ্যদীপ্ত মনে হয়েছে?’

তিনি শনিবার দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ সভায় এসব কথা বলেন।

মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘রেলওয়ের সংস্কারে ৩ জন ছাত্র প্রতিনিধিকে যুক্ত করা হয়েছে। তারা প্রতিনিধি হওয়ার পর থেকে বন্ধুবান্ধব নিয়ে ট্রেন ভ্রমণ করছে। তারা একটা পিকনিকের আমেজে আছে।’

তিনি বলেন, ‘একাত্তরে যারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিল এখন তারা অনেক ধরনের আস্ফালন করছে। কাউকে ক্ষমা করছে, কাউকে বুকে টেনে নিচ্ছে, সকালে একটা বলছে, বিকেলে আরেকটা বলছে।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপি একাধিকবার ক্ষমতায় ছিল, দেশ পরিচালনা করেছে। অভিজ্ঞ রাজনৈতিক দল হিসেবে এই দেশের ভালো-মন্দ, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া-এটা ভালোভাবেই বিএনপি করতে পারবে। বাংলাদেশের মানুষ এটা বিশ্বাস করে।’

খুলনায় আগামী ১৬ মে ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার বিষয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সভা পরিচালনা করেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।

সভায় যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিনসহ খুলনা বিভাগের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য বদল এনস প য বদল ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় ২ নারীসহ আহত ৪

বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে  কেয়ারটেকার ও ২ নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের ঘটনায়   থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় আহত কেয়ারটেকারের স্ত্রী মমতাজ বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে হামলাকারি রমজানগং এর বিরুদ্ধে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

আহত কেয়ারটেকার ও  অভিযোগের বাদিনী মমতাজ বেগম জানান, আমরা স্বামী/ স্ত্রী মদনগঞ্জ পিএম রোডস্থ পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন আমার খালাত ভাই রজ্জব আলী বাড়িতে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করে আসছি।

এর ধারাবাহিকতা গত ২৩ জুলাই একই এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে রমজান আলী তার স্ত্রী হান্না শারমিন ওরফে জেনি, ছেলে  ইফাজ ও তার বন্ধু একই এলাকার জনু মিয়ার ছেলে ইসরাকসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩/৪ জন সন্ত্রাসী আমাদের বাড়ি মালিক রজ্জব আলী ঘরের বিভিন্ন আসভাবপত্র জোর পূর্বক নিয়ে যাচ্ছে।

এ ঘটনায় আমি বাধা প্রদান করলে ওই সময় রমজান আলী তার স্ত্রী জেনী, ছেলে ইফাজ তার বন্ধু ইসরাকসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ সন্ত্রাসী ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি কেয়ারটেকার সুমন (৩৮)কে লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

কেয়ারটেকারের  চিৎকারের শব্দ পেয়ে  তার স্ত্রী মমতাজ বেগম (৩২) ছোট বোন বিলাসী  (২৮) ও ভাগ্নিা হৃদয় (২৪) তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ওই সময়  হামলাকারিরা তাদেরকেও এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে ও শ্লীতাহানি করে হত্যা হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায়  চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে কেয়ারটেকারসহ তার পরিবার। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ