ইসলামী যুব আন্দোলন সোনারগাঁ থানার দায়িত্বশীল প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
Published: 3rd, May 2025 GMT
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ সোনারগাঁ থানা শাখার উদ্যোগে ২০২৫-২৬ সেশনের দায়িত্বশীল প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩ মে) বিকেল ৩টায় কাঁচপুরে আইজেএবি অফিসে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় থানাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন শাখার দায়িত্বশীলরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলন সোনারগাঁ থানা শাখার সভাপতি মুহা: মনির হোসেন। সঞ্চালনা করেন দাওয়াহ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহা: সোহাগ আব্দুল্লাহ।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুহা: মামুনুর রশিদ। বিশেষ আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন জেলার সহ-সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত দায়িত্বশীলদের উদ্দেশ্যে সংগঠনের আদর্শ, দায়িত্ব ও করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
দলীয়করণ করলে গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের অবমূল্যায়ন করা হবে: জাহিদ হোসেন
আওয়ামী লীগের মতো দলীয়করণ করা হলে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদদের অবমূল্যায়ন করা হবে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, তাঁরা শহীদ হয়েছেন জাতির জন্য, গণতন্ত্রের জন্য।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় জাহিদ হোসেন এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আপনারা আবু সাঈদ, মুগ্ধ অথবা ওয়াসিমের কথা বলেন; কিন্তু আমাদের সব শহীদের কথা বারবার বলতে হবে। শহীদদের যদি আপনারা ওই আওয়ামী লীগের মতো দলীয়করণ করেন, শহীদদের অবমূল্যায়ন করা হবে। এঁরা শহীদ জাতির জন্য, গণতন্ত্রের জন্য।’
এ সময় আওয়ামী লীগের ১৭ বছরের ইতিহাস ভুলে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ইলিয়াস আলী, কমিশনার চৌধুরী আলমকে মনে রাখতে হবে। ১৭ বছরের ইতিহাসকে ভুলে গেলে কোনো অবস্থাতেই জুলাই-আগস্টের লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না।
বিএনপির নেতা জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ’৪৭ না হলে ’৬৯ হতো না; ’৬৯ না হলে ’৭১ হতো না; ’৭১ না হলে ’৯০ আসত না। আর ’৯০ না আসলে ২৪–এর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান হতো কি না, বিরাট বড় প্রশ্ন থেকে যায়। তাই যাঁর যা অবদান, তা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে এবং তাঁদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে।
দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে তাঁদের পছন্দের প্রার্থী বাছাইয়ের সুযোগ দেওয়ারও দাবি জানান জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, জনগণ যাকে ভালো মনে করবে, তাকে গ্রহণ করবে। যাকে ভালো মনে করবে না, তাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে।
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের সমালোচনা প্রসঙ্গেও কথা বলেন বিএনপির এই নেতা। সমালোচকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রত্যেক দিন যমুনাতে (প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন) যান। যমুনা থেকে বের হওয়ার পরে আপনারা আপনাদের মতো বলেন আর প্রেসসচিব তাঁর মতো করে প্রেস ব্রিফিং করেন। এটার মধ্যে কোনো দোষ নেই; কিন্তু দোষ তারেক রহমান সাহেবের সঙ্গে ড. ইউনূস সাহেবের মিটিংয়ের পরে প্রেস ব্রিফিংটা কেন হলো?’
প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকের পর দেশে অনেক ধরনের বিশৃঙ্খলা কমে গেছে এবং শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন জাহিদ হোসেন।
ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক সৈয়দ আবদাল আহমদের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. শামছুল আলম, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর (পাভেল), বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন প্রমুখ।