প্রথমবার ভিডিওতে একসঙ্গে বেলাল খান ও কর্নিয়া
Published: 3rd, May 2025 GMT
দেশের জনপ্রিয় দুই সংগীতশিল্পী বেলাল খান ও কর্নিয়াকে প্রথমবারের মত দেখা যাবে ‘তুমি ছাড়া নেই আলো’ গানের ভিডিও তে । নাটক সিনেমাতে একসঙ্গে নিয়মিত গাইলেও এর আগে কখনোই তাদের এক সাথে ভিজুয়াল পারফরম্যান্স করতে দেখা যায়নি।
‘তুমি ছাড়া নেই আলো ’ শিরোনামে গানটির কথা লিখেছেন সহদেব সাহা , সুর করেছেন বেলাল খান এবং সঙ্গীতায়োজন এমএমপি রনি । মেলোডি রোমান্টিক এই গানের মনমুগ্ধকর মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন চন্দন রায় চৌধুরী ।
নতুন গান ও ভিডিও নিয়ে বেলাল খান বলেন, ‘অনেকদিন থেকেই দর্শকদের চাওয়া ছিল আমার প্রথম দিকের মেলোডিরোমান্টিক গানগুলোর মত নতুন গান করা ।আশা করি, নতুন এই গানে সেই ধরনের টেস্ট পাবে গানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চমৎকার গ্ল্যামারাস মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছে চন্দন রায় চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে কর্নিয়া বলেন বেলাল ভাইয়ের গানগুলো বরাবরই স্পেশাল হয়। এবারের গানটিও তেমনি। অনেকদিন পর আমরা গানের রেকর্ডিং থেকে শুরু করে ভিডিও পর্যন্ত আনন্দ নিয়ে কাজ শেষ করেছি। আজ বেলাল খানের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ‘তুমি ছাড়া নিয়ে আলো ’ গানটি প্রকাশ হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা