এনসিপির সমাবেশে অর্ধেক লোক ছিল ভাড়া করা: যুবদল সভাপতি
Published: 3rd, May 2025 GMT
জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, “এনসিপির শুক্রবারের সমাবেশে সবমিলিয়ে এক হাজারের মতো লোক হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক লোক ছিল ভাড়া করা ভদ্র মহিলা। তারা যে নিজেদেরকে এত মেধাবী ও তারুণ্যদীপ্ত দাবি করেন, তাদের সমাবেশ দেখে কী তারুণ্যদীপ্ত মনে হয়েছে?”
শনিবার (৩ মে) দুপুরে খুলনা নগরীর একটি হোটেলে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। খুলনায় আগামী ১৬ মে ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার বিষয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
মোনায়েম মুন্না বলেন, “রেলওয়ে সংস্কারে তিনজন ছাত্র প্রতিনিধিকে যুক্ত করা হয়েছে। তারা প্রতিনিধি হওয়ার পর থেকে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ট্রেন ভ্রমণ করছে। তারা পিকনিকের আমেজে আছে।”
আরো পড়ুন:
সংস্কারের কথা প্রথম বলেছে বিএনপি: নওশাদ জমির
রাজশাহীতে বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ
তিনি আরো বলেন, “একাত্তরে যারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিল এখন তারা অনেক ধরনের আস্ফালন করছে। কাউকে ক্ষমা করছে, কাউকে বুকে টেনে নিচ্ছে, সকালে একটা বলছে, বিকেলে আরেকটা বলছে।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “বিএনপি একাধিকবার ক্ষমতায় ছিল, দেশ পরিচালনা করেছে। অভিজ্ঞ রাজনৈতিক দল হিসেবে এই দেশের ভালো-মন্দ, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া-এটা ভালোভাবেই বিএনপি করতে পারবে। বাংলাদেশের মানুষ এটা বিশ্বাস করে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সভা পরিচালনা করেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। সভায় যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিনসহ খুলনা বিভাগের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা অব্যাহত, শুক্রবারের হামলায় আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শুক্রবার উপত্যকাটিতে আরও ৮২ জন নিহত হয়েছেন।
এরমধ্যে মধ্য গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। তাদের ২৩ জন ত্রাণ আনতে গিয়ে দখলদারদের হাতে নিহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে নিহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। আর দক্ষিণ গাজায় প্রাণ গেছে ২২ জনের। এদের মধ্যে ১১ জন ত্রাণ আনতে গিয়েছিলেন।
এদিকে গাজা যুদ্ধ চলমান থাকায় টানা দ্বিতীয় বছরের মতো শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার কারণে ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুদ্ধপীড়িত অঞ্চলে শিশুদের ওপর সহিংসতা ‘চরম মাত্রায়’ পৌঁছেছে। এর মধ্যে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
‘সশস্ত্র সংঘাতে শিশু’বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিশ্বব্যাপী শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার ঘটনা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালে মোট ৪১ হাজার ৩৭০টি গুরুতর সহিংসতা যাচাই করে দেখা গেছে, এর মধ্যে শিশুদের হত্যা, শারীরিকভাবে আহত করা, যৌন সহিংসতা এবং স্কুল-হাসপাতালে হামলার মতো ঘটনা রয়েছে।
এর মধ্যে শুধু ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ও ইসরায়েলে ২ হাজার ৯৫৯ শিশুর বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৫৫৪টি গুরুতর সহিংসতার ঘটনা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। এই সংখ্যা অনুযায়ী, গাজায় গত এক বছরে ১ হাজার ২৫৯ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে এবং ৯৪১ জন আহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত শিশুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে গাজায় আরও ৪ হাজার ৪৭০ শিশু নিহতের তথ্য যাচাই চলছে। অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৯৭ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যুর তথ্যও নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। সেখানে ৩ হাজার ৬৮৮টি শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা