ফতুল্লার ব্লাকমেইলিং চক্রের প্রধান ডাকাত মিঠু অধরা
Published: 3rd, May 2025 GMT
ফতুল্লায় নারী দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পুরুষদের আকৃষ্ট করে ডেকে এনে আটক করে ব্লাকমেইল করে মুক্তিপণ চাওয়া চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার হলেও চক্রের অন্যতম হোতা মিঠু ওরফে ডাকাত মিঠু এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
ব্লাকমেইলিং চক্রের প্রধান ডাকাত মিঠুকে আটক করলে ঐ অঞ্চলের অপরাধ অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
এদিকে ঢাকার এক কলেজ ছাত্র'র সাথে ফেইসবুকে সম্পর্ক তৈরি করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিঝুম নামের এক ব্লাকমেইলিং চক্রের সদস্য। নিঝুমের সাথে আরো কয়েকজন তরুণী রয়েছে। আর তাদের দিয়ে বিভিন্ন বয়সের পুরুষকে প্রেমের ফেলে তাদের কব্জায় নিয়ে এসে নারীর সাথে ছবি তুলে ব্লাকমেইল করে মিঠু ওরফে ডাকাত মিঠু।
আর মিঠুর সাথে রয়েছে কয়েকজন সদস্য। ব্লাকমেইলিং করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এমন বহু ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। আর ঢাকার কলেজ ছাত্র আল আমিনকে ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে মিঠুর ২ জন সদস্য পুলিশের খাঁচায় বন্দি হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, অপরাধীরা যত বড় শক্তিশালী হউক না কেন প্রকার ছাড় পাবে না। ঢাকার এক ছাত্রকে ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। মূলহোতা মিঠু সহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, ঢাকার পোস্তগোলা রাজাবাড়ী এলাকার কলেজ ছাত্র আল আমিনের সঙ্গে নিঝুমের ফেইসবুকে পরিচয় হয় এবং সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সম্পর্কের সুবাদে ৩০ এপ্রিল নিঝুমের ডাকে সারা দিতে ঢাকা হতে ফতুল্লায় আসে।
পরে আল আমিনকে ডেকে এনে নিঝুম সহ অন্য আসামীরা মিলে তাকে ফতুল্লার লালখাঁ পিটিআই ভবনের সামনে একটি টিন বাসায় এনে আটক করে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে ১ লা মে আল আমিন বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে ৯৯৯ ফোন দেয়।
পরে মুক্তিপণের টাকা দেয়ার কথা বলে পুলিশ ফোন করলে মিঠু ২ জনকে পাঠালে পুলিশের জালে আটক হয় ২ সদস্য। আটককৃতরা হলো ফতুল্লার লালখাঁ এলাকার সোহরাব মিয়ার ছেলে মোস্তফা (৩৫) ও একই এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে আল আমিন।
এ ঘটনায় কলেজ ছাত্র আল আমিনের বড় ভাই ইসমাঈল মোল্লা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কল জ ছ ত র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর রেলগেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
সেখানে বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলও করেন। এ ছাড়া সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষীপুর এলাকাতেও সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
বিক্ষোভকারী নেতা-কর্মীদের দাবি, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সোহরাব উদ্দিনকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার।
এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।
জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হাসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’
কুষ্টিয়ার অন্য তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।