যুবদল নেতার বাড়িতে দুই দফায় হামলা, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ
Published: 4th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক যুবদল নেতা ও তাঁর বন্ধুদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীরা এ জন্য জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদকে দায়ী করেছেন। শুক্র ও শনিবার রাতে দুই দফায় এ হামলা হয় উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের নাগেরবাগ এলাকায়।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ৫০-৬০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য অলি মাতবরের বাড়িতে হামলা করে। সেখানে ভাঙচুর চালানোর পর তারা বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে হামলাকারীরা অলি মাতবরের বন্ধু শাওন ও শাহজালালের বাড়িতেও হামলা করে।
অলির ভাই খলিল মাতবরের ভাষ্য, পূর্ববিরোধের জের ধরে তাদের বাড়িতে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এর নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্রদল নেতা মাসুদ। তারা বাড়ি ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। যাওয়ার সময় তাদের নিকটাত্মীয় সুমনকে একা পেয়ে কুপিয়েছে। অলির দুই বন্ধুর বাড়িতেও লুটপাট চালিয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ শনিবার বিকেলে এ হামলার দায় অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ হামলা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে হামলার পর শনিবার রাত ৮টার দিকে নাগেরবাগ এলাকায় আরেক দফায় হামলা চালানো হয়। এতে মাসুদের নেতৃত্বে রনি, মামুন, মফিজ, রবিউল, বিদ্যুৎ, শামীম, আকাশ, সবুজ, শাকিব, শুভসহ ৪০-৫০ জন অংশ নেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, নাগেরবাগ এলাকায় সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতের বিষয়ে খলিল মাতবর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ য বদল ছ ত রদল ম তবর
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন ‘এক নেতা এক পদ’ নীতির বাস্তবায়ন দাবি এক নেতার
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ২০ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সভাপতি পদে লড়ছেন দুজন, সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন। ইতিমধ্যে প্রতীক নিয়ে ভোটের প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা।
সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী ও বর্তমান জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল হোসাইন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের খরমপট্টি এলাকার সমবায় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি বাস্তবায়নের দাবি তোলেন। তিনি বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্রের ১৫ ধারা বাস্তবায়ন না হওয়ায় নেতৃত্বের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তা কার্যকর করার সুযোগ এসেছে।
রুহুল হোসাইন বলেন, বিভিন্ন ইউনিটের কাউন্সিলরদের কাছ থেকে ইতিমধ্যে দলের ভেতরে নানা অনিয়ম, অগঠনতান্ত্রিক বিষয়গুলো আলোচনায় আসায় তা থেকে বের হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলমের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাত জেলার দায়িত্বে থাকা একজন কেন্দ্রীয় পদধারী নেতার একই সঙ্গে জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করা অনিয়ম ও বিভক্তি তৈরি করছে। বলয়কেন্দ্রিক রাজনীতিতে অনেক বর্ষীয়ান ও সম্ভাবনাময় নেতারা অবজ্ঞার শিকার হয়েছেন।
জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরও বলেন, সভাপতি পরিবর্তন হলে কিশোরগঞ্জে অনিয়ম কমবে। সদর থেকে সভাপতি নির্বাচিত হলে জেলার বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততা থাকবে। জেলা–উপজেলার নেতা-কর্মীরা নজরে থাকবেন। এতে অনিয়ম কম হবে, যা দলের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলম বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্র মেনেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আস্থা থাকার কারণেই একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু তিনি নন, আরও অনেক নেতা কেন্দ্রীয় পদে থেকেও জেলায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
জেলা বিএনপি জানিয়েছে, প্রায় ৯ বছর পর এবার জেলা বিএনপির সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে পুরাতন স্টেডিয়ামে মঞ্চ, প্যান্ডেলসহ শহরে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধন করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সম্মেলনে সভাপতি পদে লড়ছেন রুহুল হোসাইন (ছাতা) ও মো. শরীফুল আলম (আনারস)। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল (ফুটবল), মাজহারুল ইসলাম (রিকশা), শফিকুল আলম রাজন (মাছ) ও সাজ্জাদুল হক (গোলাপ ফুল)।