মানিকগঞ্জে শিল্পী মানবেন্দ্রর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলা: সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার ৫
Published: 4th, May 2025 GMT
প্রতীকী ছবি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে কারখানায় শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুই নিরাপত্তাকর্মী গ্রেপ্তার
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কারখানায় চুরির অপবাদ দিয়ে হৃদয় (১৯) নামের এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির আরও দুই নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার কোনাবাড়ী ও সেলিমনগর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন রাজশাহীর বাগমারা এলাকার হাটমাদনগর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (৩০) ও কোনাবাড়ী কুদ্দুসনগর এলাকার বেলাল হোসেন (৪৫)। তারা দুজনই গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড নামের কারখানার নিরাপত্তাকর্মী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোনাবাড়ী এলাকায় গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড নামের কারখানার ভেতরে গত শনিবার ভোরে শ্রমিক হৃদয়কে চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই লিটন মিয়া বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ থেকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে।
মামলায় গত রোববার হাসান মাহমুদ নামের এক নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। এ ছাড়া গতকাল সোমবার মধ্যরাতে কোনাবাড়ী এলাকার একটি বাসা থেকে শফিকুলকে ও মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুনগাজীপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে কারখানায় শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, অনির্দিষ্টকালের ছুটি ঘোষণা৩০ জুন ২০২৫কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় হৃদয়ের বড় ভাই লিটন মিয়া কোনাবাড়ী থানায় গত শনিবার রাতে হত্যা মামলা করেন। তবে মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
আরও পড়ুনগাজীপুরে কারখানায় শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার৮ ঘণ্টা আগেএদিকে বিকেলে গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলেও এখনো কারখানা খুলে দেওয়া হয়নি। কারখানার মালিকপক্ষ ও নিরাপত্তাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়ায় ফটকে কাউকে পাওয়া যায়নি। ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন ডাইং সেকশনের শ্রমিক মোন্তাসির। তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে কোনো কর্মকর্তা কারখানায় আসেনি। নিরাপত্তাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়ায় তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।