নাটোরের নলডাঙ্গায় বাড়িতে আগুন লেগে এক দম্পতি দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে স্ত্রীর শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁকে সংকটাপন্ন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আগুনে ওই বাড়ির চারটি ঘরের সব কটি ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, ঝোড়ো হাওয়ায় বৈদ্যুতিক বাল্ব বিস্ফোরিত হয়ে ওই বাড়িতে আগুন লাগে।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পিপরুল ছান্দাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিদগ্ধ দম্পতি হলেন ওই গ্রামের মীর বাবু (৩৮) ও তাঁর স্ত্রী কোহিনূর বেগম (৩২)। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছে তাঁদের দুই শিশুসন্তান।

নলডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত দুইটার দিকে ঝোড়ো হাওয়ার সময় মীর বাবুর রান্নাঘরের একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব বিস্ফোরিত হয়। এতে রান্নাঘরে আগুন ধরে যায়। পরে আগুন অন্য ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সেখানে পৌঁছানোর আগেই পুরো বাড়ি পুড়ে যায়। বাড়িতে মীর বাবু ও কোহিনূর বেগম দম্পতি ও তাঁদের দুই সন্তান ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন লাগার বিষয় বুঝতে পেরে তাঁরা সন্তানদের বের করে আনেন। তবে আগুনে মীর বাবু ও তাঁর স্ত্রী দগ্ধ হন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই দম্পতিকে প্রথমে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাড়িতে থাকা ৪০ হাজার টাকা ও কিছু জিনিসপত্র অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে লক্ষাধিক টাকাসহ গুদামজাত করা কৃষিপণ্য পুড়ে গেছে। চারটি ঘর সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে।

সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কর্মকর্তা আরশেদ আলী জানান, অগ্নিদগ্ধ কোহিনূর বেগমের শরীরের প্রায় ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। মীর বাবুর হাতের সামান্য অংশ পুড়ে গেছে। তিনি শঙ্কামুক্ত।

নলডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই সবকিছু পুড়ে গেছে। বাড়ির মালিক ও তাঁর স্ত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নলড ঙ গ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরের ছয়টি আসনের ৪টিতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

গাজীপুরের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, গাজীপুর-১ ও গাজীপুর-৬ আসনের প্রার্থীদের নাম পরে জানানো হবে। 

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা হয়নি ঢাকা-২০ আসনে, অপেক্ষায় ৪ নেতা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিজ্ঞদের ওপর আস্থা রাখল বিএনপি

গাজীপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এম এ মান্নানের ছেলে এম. মঞ্জুরুল করিম রনি। গাজীপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। গাজীপুর-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান এবং গাজীপুর-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক মিলন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “যেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এছাড়া, শরিক দলের জন্য কিছু আসন খালি রাখা হয়েছে।”

এর আগে, দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী সেই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তকরণ এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ করা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে আনুষ্ঠানিক তফসিল।

এদিকে প্রার্থী ঘোষণার খবর পেয়ে গাজীপুর মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন। তবে গাজীপুর-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক মিলন তানিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন।

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ