ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সবজি বিক্রেতার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে উঠে খেলা করছিল আল ফারাবি সুজন (৩) নামে এক শিশু। হঠাৎ সে ভ্যানটির একটি সুইচে চাপ দেয়। দ্রুত গতিতে ভ্যানটি পাশেই থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিতে গিয়ে ধাক্কা দেয়। ফলে গুরুতর আহত হয় শিশুটি। হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। 

রবিবার (৪ মে) পৌর শহরের স্টেশনপাড়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। মারা যাওয়া ফারাবি একই এলাকার শেখ শামীম হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে স্টেশনপাড়ায় সবজি বিক্রি করছিলেন। তিনি ভ্যানটি রাস্তার পাশে রেখে একটি বাড়িতে সবজি পৌঁছে দিতে যান। এ সময় ফারাবি ভ্যানটির চালকের আসনে ওঠে। একপর্যায়ে ভ্যানের হ্যান্ডেলে থাকা একটি সুইচে চাপ দেয় সে। ফলে ভ্যানটি চলতে শুরু করে।

আরো পড়ুন:

ফেনীতে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

লোকজন ছুটে আসার আগেই ভ্যানটি রাস্তার পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। ভ্যান থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয় ফারাবি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক ফারাবিকে মৃত ঘোষণা করেন। 

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো.

সেলিম হোসেন জানান, দুর্ঘটনার শিকার শিশুটি হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। পরিবারের লোকজন তার মরদেহ নিয়ে গেছে।

কোটচাঁদপুর থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‍“এ ধরণের ঘটনা শুনিনি। ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।” 

ঢাকা/নূর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন ভ য নট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ