খালেদা জিয়া এলে ঢাকার কোন কোন পথে অভ্যর্থনা, রিজভীর নির্দেশনা
Published: 4th, May 2025 GMT
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৬ মে ঢাকায় এলে তাঁকে পথে পথে অভ্যর্থনা জানাবেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। তাঁরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন।
আজ রোববার বেলা আড়াইটার পর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষেত্রে বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কারা কোথায় অবস্থান নেবেন, তাঁরা কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না, সে বিষয়ে রুহুল কবির রিজভী আজকের সংবাদ সম্মেলনে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে আগামীকাল ৫ মে (সোমবার) দেশে ফেরার কথা ছিল খালেদা জিয়ার। কিন্তু তিনি আগামীকাল দেশে ফিরছেন না। এক দিন পর ৬ মে (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় দেশে ফিরবেন তিনি। দেশে ফিরলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
রুহুল কবির রিজভীর নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান করবে বিমানবন্দর থেকে লো মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত। ছাত্রদল অবস্থান করবে লো মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত। যুবদল অবস্থান করবে খিলক্ষেত থেকে হোটেল র্যাডিসন পর্যন্ত। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি অবস্থান করবে হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত। স্বেচ্ছাসেবক দল অবস্থান করবে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত। কৃষক দল অবস্থান করবে বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত। শ্রমিক দল অবস্থান করবে কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত। ওলামা দল, তাঁতীদল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল অবস্থান করবে শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত। মুক্তিযোদ্ধা দলসহ সব পেশাজীবী সংগঠন অবস্থান করবে বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত। মহিলা দল অবস্থান করবে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত অবস্থান করবেন। আর বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীরা যাঁর যাঁর সুবিধামতো স্থানে অবস্থান নেবেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সব নেতা-কর্মী দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার এক পাশে দাঁড়াবেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাওয়া যাবে না। হেঁটে হেঁটেও যাওয়া যাবে না। এ ছাড়া বিমানবন্দর ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দল অবস থ ন করব ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
রায়েরবাজারে গণকবর দেওয়া ১১৪ মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ
জুলাই–আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের সময় রায়েরবাজারে গণকবর দেওয়া ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. মোস্তাফিজুর রহমান আজ সোমবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান।
পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই–আগস্ট আন্দোলন চলাকালে অজ্ঞাতপরিচয় ১১৪টি মরদেহ দাফন করা হয়েছিল রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। এই শহীদদের পরিচয় জানার জন্য তাঁদের মরদেহ উত্তোলন প্রয়োজন। এ জন্য লাশ উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
ঢাকার সিএমএম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এসিএমএম) শামসুদ্দোহা সুমন প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই–আগস্ট আন্দোলন চলাকালে যাঁরা মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১১৪ জনের পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়েছিল রায়েরবাজারে। তাঁদের পরিচয় জানা এবং আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উত্তোলন প্রয়োজন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য, বেওয়ারিশ লাশগুলো জুলাই-আগস্টে দাফন করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, যারা নাম-পরিচয় না জানা মরদেহ দাফন করে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, রায়েরবাজার কবরস্থানে তারা জুলাইয়ে ৮০ জনের ও আগস্টে ৩৪ জনের মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেছিল।