সুনামগঞ্জে ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের মামলায় তিন তরুণ গ্রেপ্তার
Published: 4th, May 2025 GMT
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে দুই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত এবং এর প্রতিবাদ করায় এক ছাত্রীর চাচাকে মারধরের ঘটনায় তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার তরুণেরা হলেন উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের মহিবুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫), আলমগীরের ছেলে মারুফ মিয়া (২১) ও জাহাঙ্গীরের ছেলে তৌশিক মিয়া (২২)।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, এলাকার একটি মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে গ্রেপ্তার তরুণেরা ওই ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতেন। একপর্যায়ে ছাত্রীরা মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেন। বিষয়টির প্রতিবাদ করায় এক ছাত্রীর চাচাকে মারধর করেন ওই তরুণেরা। এরপর গত ২৯ এপ্রিল ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত ও মারধরের ঘটনায় তাহিরপুর থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন মারধরের শিকার ওই ব্যক্তি। এই মামলায় পুলিশ শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে। শনিবার রাতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
কর্মক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রতি অন্য সহকর্মী দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে ও নিয়মিতভাবে খারাপ আচরণ করাকে কর্মক্ষেত্রে বুলিং অথবা উৎপীড়ন বলে। এটি কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে, কর্মীর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়; কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
প্রকারভেদ
কর্মক্ষেত্রে বুলিং বিভিন্ন রকম হয়—
মৌখিক বুলিং: গালিগালাজ, অপমানজনক মন্তব্য, সবার সামনে ছোট করা, বিদ্রূপ করা।
শারীরিক বুলিং: মারামারি, ধাক্কা দেওয়া অথবা শারীরিকভাবে আঘাত করা।
সাইবার বুলিং: অনলাইনে বা সামাজিক মাধ্যমে অপমানজনক বার্তা পাঠানো, মোবাইলে ফোন করে খারাপ ব্যবহার করা।
কেন করা হয়?
এই উৎপীড়নের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে—
কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতা জাহির করা।
সহকর্মীর প্রতি ঈর্ষা।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সামনে নিজেকে জাহির করার ইচ্ছা।
কর্মীর পারিবারিক অথবা মানসিক সমস্যা; যা কর্মক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।
কর্মীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
বুলিং কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এর কারণে অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি চাকরি ছেড়ে দেওয়া, অনেক সময় আত্মহত্যাও করতে পারেন।
মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
ডিপ্রেশন বা হতাশা
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
ইনসমনিয়া বা ঘুম কম হওয়া
আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া
আত্মহত্যার প্রবণতা
শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া
ওজন বেড়ে যাওয়া
হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া
মানসিক চাপ ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগকে অনিয়ন্ত্রিত করে দেয়।
প্রতিরোধের উপায়
ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলা।
প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
ডা. নাজমুল হক মুন্না সহকারী অধ্যাপক (নিউরোলজি)